‘দিদি নম্বর ১’ (Didi No 1) রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) অনেকের অনুপ্রেরণা। মুখে একগাল হাসি নিয়ে কীভাবে জীবনের কঠিন লড়াই লড়ে যেতে হয় তা তাঁকে দেখে শেখা যায়। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) একসময়কার সেরা নায়িকা আজ নামী সঞ্চালিকা এবং ব্যবসায়ী। কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড সফল তিনি। যে কাজে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে বারবার ঝড়ঝাপটার সম্মুখীন হতে হয়েছে রচনাকে।
‘দিদি নম্বর ১’ (Didi No 1) সঞ্চালিকা কখনও নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লুকোচুরি করেননি। একাধিকবার বিয়ে, স্বামী, সংসার নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বেশ কয়েকবছর আগে এক সাক্ষাৎকারে যেমন স্বামীকে ডিভোর্স না দেওয়ার কারণ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। স্বামীর (Husband) সঙ্গে না থাকলেও রচনা কেন বিয়ে ভাঙেননি (Divorce) তা শুনলে সত্যিই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে যায়।
জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বিবাহিত। তবে হ্যাপিলি ম্যারেড বলতে যা বোঝায় আমি সেটা নই’। এখানেই থামেননি ‘দিদি নম্বর ১’ সঞ্চালিকা। এরপর স্বামীকে ডিভোর্স না দেওয়ার আসল কারণ সবার সামনে স্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সামান্যতম সৌজন্যবোধ নেই, নতুন প্রজন্মের তারকাদের ব্যবহার নিয়ে বিস্ফোরক শঙ্কর চক্রবর্তী
কোনও রাখঢাক না করেই রচনা বলেন, ‘আমার ছেলে এখন বড় হচ্ছে। আমি কিংবা আমার স্বামী কখনও চাইনি ওকে শুনতে হোক ওর বাবা-মায়ে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। আমরা দু’জন একসঙ্গে না থাকলেও খুব ভালো বন্ধু’।
আরও পড়ুনঃ ‘পরিচালকরা সব আঁতেল, দেব-জিৎ দুটোই হারামজাদা!’ কেন এমন বিস্ফোরক সুমিত গাঙ্গুলী? দেখুন ভিডিও
দর্শকদের প্রিয় ‘দিদি নম্বর ১’ জানান, ছেলের প্রতি প্রচণ্ড যত্নবান তাঁর স্বামী। ছেলে প্রণীলের পরীক্ষার সময় স্বামী এসে তাঁকে পড়ান। কখনও কখনও তাঁরা একসঙ্গে ঘুরতে যান, খেতে যান। সেই সময়গুলো ভীষণ আনন্দ করে কাটে।
তবে স্বামীর থেকে আলাদা থাকলেও নতুন কারোর সঙ্গে ঘর বাঁধতে রাজি নন রচনা। অভিনেত্রী স্পষ্ট বলেন, ‘আমার জীবনে কোনও পুরুষ মানুষের দরকার নেই। আমার জীবনে আমার বন্ধুরা রয়েছে। তাঁরা আমার সঙ্গে রয়েছে, পাশে রয়েছে’।