বাংলা বিনোদন দুনিয়ার (Tollywood) অত্যন্ত জনপ্রিয় এক মুখ হলেন শঙ্কর চক্রবর্তী (Shankar Chakraborty)। দর্শকদের কাছে তাঁর আলাদা করে কোনও পরিচয়ের দরকার নেই। সিনেমা থেকে শুরু করে সিরিয়াল (Bengali Serial), সব মাধ্যমেই অবাধ বিচরণ তাঁর। সুদীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি সৌরভ চক্রবর্তী পরিচালিত নতুন ছবির প্রেস রিলিজে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ব্যবহার নিয়ে খানিকটা বিরক্ত প্রকাশ করেন শঙ্কর চক্রবর্তী। টলিপাড়ার এই প্রবীণ অভিনেতা (Tollywood Actor) বলেন, সিনিয়র সম্মান করার পাট এখন চুকে গিয়েছে! বিশেষত নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী যারা আসছেন তাঁদের মধ্যে এই ব্যাপারটা তেমন নেই। হয়তো সিনিয়র অভিনেতা সামনে বসে আছেন কিন্তু তাঁর সামনেই পা তুলে দিচ্ছেন। সামান্য সৌজন্যবোধও নেই।
শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রচুর সিনিয়র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে আমরা কাজ করেছি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কালী ব্যানার্জি, রবি ঘোষ, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, তরুণ কুমার, অনুপ কুমার, মাধবী দি, সাবিত্রী দিএনাদের দেখে আমরা এখনও দাঁড়িয়ে পড়ি। তটস্থ হয়ে যাই। আর এখন সব রিল করে সেটে আসে। কাজে মনঃসংযোগ নেই, চিত্রনাট্য পড়ে আসে না। অথচ টিআরপি পেয়ে গেলে ভেবে নেউ তাদের জন্যই সিরিয়াল জনপ্রিয় হচ্ছে’।
আরও পড়ুনঃ প্রেমমগ্ন প্রসেনজিৎ পুত্র তৃষাণজিৎ! সুন্দরীর গালে দিলে চুমুর ছবি ফাঁস হতেই জল্পনা নেটপাড়ায়
এরপর শঙ্কর চক্রবর্তীকে জিজ্ঞেস করা হয়, এখন কি সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ারদের ওপর কাজ পাওয়া না পাওয়াটা নির্ভর করে? জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘আমার এই বিষয়টা সঠিক বলে মনে হয় না। তবে কিছু করার নেই। চ্যানেলও তাই করছে। বাবা-মা, কাকা-জ্যাঠা দরকার হয় বলে আমরা আছি। তবে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে এবং বাজেটও এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে একটু বেশি টাকা চাইলে আমাদের নেবে কিনা সন্দেহ’।
প্রবীণ অভিনেতার কথায়, এখনকার বাজারে যদি বেশি পারিশ্রমিক চাওয়া হলে এই বাবা-মা, কাকা-জ্যাঠার চরিত্রেও হয়তো নতুন মুখের খোঁজ পড়বে। পাশাপাশি এখনও যারা কাজের সুযোগ দিচ্ছেন, সেই পরিচালক, লেখক-লেখিকা এবং চ্যানেলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ শুটিং ফ্লোরে টলিকুইন ঋতুপর্ণাকেও ‘নাকের জলে চোখের জলে’ করে ছেড়েছিলেন দুলাল লাহিড়ী!
একই সাক্ষাৎকারে শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘যেদিন থেকে ফিল্মে শ্যুট বন্ধ হয়ে চিপে শ্যুট হওয়া শুরু হয় সেদিন থেকে পরিচালকদের কাজও বদলে যেতে শুরু করে। সবাই সব শট ওয়াস্ট, ক্লোজ নেন। আসলে এডিটিংয়ের বিষয়গুলি এদের মাথায় থাকে না’। তবে এই বিষয়ে সৌরভের প্রশংসা করে অভিনেতা বলেন, ‘সৌরভ সব ধরণের শটের তফাৎ জানে। ও সব শট কাজে লাগিয়েছে, কারণ ওর মাথায় এডিটিং ছিল, ও এডিটিংয়ের বিষয়টা জানে’।