নব্বইয়ের দশকের বাংলা ছবিতে নায়ক ছাড়াও খলনায়ক (Villain) হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বিপ্লব চ্যাটার্জী, দুলাল লাহিড়ী, মৃণাল মুখার্জীর মত খলনায়কের। তবে আরও একজন খলনায়ক আছেন যাকে সকলেই আজ মনে রেখেছেন। হ্যাঁ ঠিকই আন্দাজ করেছেন, অভিনেতা সুমিত গাঙ্গুলীর (Sumit Ganguly) কথাই বলছি। পর্দায় তাকে দেখলেই শিউরে উঠতেন দর্শকেরা, সিনেমায় নায়কদের পাশাপাশি এই নেগেটিভ চরিত্রও ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একসময় প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে দেব, জিৎ এর মত তারকাদের সাথেও কাজ করেছেন তিনি। তবে পর্দায় ভয়ংকর হলেও বাস্তবে কিন্তু একেবারেই আলাদা তিনি। অভিনয় জগতে বেশ কয়েক দশক কাটিয়েও সকলের সাথেই বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। তবে মাঝে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্যও করেছিলেন তিনি। যে কারণে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন সুমিত গাঙ্গুলী।
অভিনেতার মতে, টলিউডের সব পরিচালকই আঁতেল!’ তো আবার কখনও তিনি বলেন, দেব জিৎ দুটোই ‘হারামজাদা’! তবে এর নেপথ্যে কি কারণ সেটা জানলে অবাক হবেন। আসলে টলি তারকাদের চোখের সামনে দেখার জন্য বহু অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে। এমনি এক অনুষ্ঠানে মজার ছলেই দেব ও জিৎকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন অভিনেতা।
আরও পড়ুনঃ সামান্যতম সৌজন্যবোধ নেই, নতুন প্রজন্মের তারকাদের ব্যবহার নিয়ে বিস্ফোরক শঙ্কর চক্রবর্তী
সুমিত বলেন, ‘ দেব ও জিৎ দুজনেই হারামজাদা। দৃশ্যের শুরু থেকেই আমায় মারতে শুরু করবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি মার্ খেয়ে শুয়ে পড়ছি। আমি সিনেমায় ভারী ডায়লগ দিলেই তারপর হিরো এমন ডায়লগ দেবে যে আমার ডায়লগ এমনিই নেতিয়ে যাবে। এরপর তিনি আরও বলেন, ‘হিরোর ডায়লগ শুনে মনে হয় ওকে বাড়ি এনে খাওয়াই আর আমার ডায়লগ শুনলে লোকের মনে হয় জুতো দিয়ে মারি’।
এছাড়াও বাংলা ছবির বর্তমান পরিচালকদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘কন্যে সমস্ত পরিচালকেরা কাজ করছেন তাঁরা সবাই আঁতেল, সিনেমা কাকে বলে জানেই না। মানুষের আবেগ বোঝে না, এরা কখনও কমার্শিয়াল সিনেমা নিয়ে কাজ করেনি। সিনেমায় যদি মারধরের সুযোগই না থাকে তাহলে মারা কিভাবে কাজের সুযোগ পাব? আগের মত ঝা চকচকে উপস্থাপনা, মশলাদার গল্প নেই, তাই আমাদের মত খলনায়কদেরও এখন জায়গা নেই’।
আরও পড়ুনঃ ২৬ বছরের বড় দীপঙ্করের সাথে সুখী দাম্পত্য! বিয়ের আগে শ্রীময়ীকে কি উপদেশ দিলেন দোলন?
প্রসঙ্গত, আর পাঁচটা যুবকের মত হিরো হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই টলিউডের দুনিয়ায় এসেছিলেন তিনি। তবে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’ ছবিতে তাঁর খলনায়কের অভিনয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর আর হিরো নয় একেরপর এক খলনায়ক চরিত্রে অফার পেতে থাকেন, তাই শেষমেশ আর নায়ক হয়ে ওঠা হয়নি। MLA ফাটাকেষ্ট, যুদ্ধ, ঘাতক, চ্যালেঞ্জ ২, ১০০% লাভ, যে হালুয়া যে, আই লাভ ইউ,মিনিস্টার ফাটা কেস্ট, বেশ করেছি প্রেম করেছি এর মত একাধিক সুপারহিট বাংলা ছবিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে।