জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম একটি ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। যেখানে ‘শিমুল’ চরিত্রে অভিনয় করছেন মানালি দে। গল্পে পরাগের সাথে বিয়ে হলেও সে একজন অমানুষ। ‘পরাগ’ হিসাবে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়কে।
তবে শিমুলের জীবনেও প্রেম ছিল, নাম তার শতদ্রু। স্বামীর অত্যাচারে যখন জীবন বিপন্ন তখন ফিরে আসে কলেজ জীবনের প্রেম শতদ্রু। অনেক লড়াই করে পরাগের থেকে ডিভোর্সও করিয়ে দেয়। কিন্তু বিচ্ছেদ হলেও শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্ক যেন শেষ হচ্ছে না। একদিকে শ্বাশুড়ি অন্যটিকে হাবলি ননদ পুতুলকে ছেড়ে যেতে মন চাইছে না। এরই মাঝে পুতুলের বিয়ের সময় ভয়ংকর অ্যাকসিডেন্টের মুখে পরে পরাগ।
পরাগের অ্যাকসিডেন্ট হতেই দৌড়ে যায় শিমুল। নিজেকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে অপারেশনের বন্ড পেপারে সই করিয়ে সুস্থ করে নিয়ে আসে। তবে বেচেঁ ফিরলেও পরাগ হাঁটতে চলতে পারবে না কোনোদিন। তাই সংসার কিভাবে চলবে, শ্বাশুড়ি কি খাবে? এই চিন্তায় শেষমেশ পরাগের স্কুলের চাকরি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল সে।
আরও পড়ুনঃ বাবার চরিত্র অতীত, নতুন মেগায় ‘বৃহন্নলা’ রূপে দর্শকদের চমকে দিলেন কৌশিক চক্রবর্তী
কিন্তু জানা যায়, পরাগের স্ত্রী হলেই নাকি চাকরি পাওয়া যাবে। এই সময় পরাগও আকুতি মিনতি করতে শুরু করে আবার বিয়ে করার জন্য, তাতে চাকরি পেয়ে গেলেই নাকি আবার ডিভোর্স দিয়ে দেবে সে। এদিকে প্রেমিক শতদ্রু যে সব ছেড়ে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করে তাকে বিয়ের অপেক্ষায় সেটা শিমুল যেন ভুলেই গিয়েছে। সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাচ্ছে পরাগকে সুস্থ করার জন্য ২-৩ মাসের সময় চাইছে শিমুল শতদ্রুর কাছ থেকে।
শিমুলের মুখে এমন কথা শুনে সে পরিষ্কার জানিয়েছে, অনেক হয়েছে আর নয়। তাঁর সাথে সে আর কোনো যোগাযোগই রাখতে চাই না। শতদ্রুকে সমর্থন করে শিমুলের ওপর ক্ষুদ্ধ আমজনতা অর্থাৎ দর্শকেরাও।
আরও পড়ুনঃ শাড়ি ছেড়ে ওয়েস্টার্ন পোশাকে বোল্ড লুক, পর্দার পুতুলকে দেখে ‘উফ কি লাগছে’ বলছে নেটপাড়া
নেটপাড়ায় কটাক্ষ ও সমালোচনার মাঝে কেউ বলছেন, ‘শিমুল চরিত্রটাই অসঝ্য। ও গাছেরও খাবে আবার তলারও কুড়োবে’। তো কারোর মতে, ‘চাকরির জন্য আবার বিয়ে করবে, নোংরা মেয়ে একটা’। এমনকি এক নেটিজেন তো লিখেছেন, ‘একটা আদ্যোপান্ত ন্যাকা চরিত্র, দেখলেই মাথাটা গরম হয়ে যায়। এখন এই সিরিয়াল দেখতেই ভালো লাগে না, জাস্ট অসহ্য’।