জি বাংলার পর্দায় যেকটি সিরিয়াল সম্প্রচারিত হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হল ইচ্ছে পুতুল। যদিও টিআরপি কিছুটা কমতেই খবর ছড়িয়েছে যে শেষ হতে চলেছে ধারাবাহিকটি। তবে অফিসিয়াল তেমন কোনো ঘোষণা আসেনি। অনেকেই ভেবেছিলেন মেঘের মৃত্যু দিয়ে শেষ হবে ইচ্ছে পুতুল। কিন্তু মৃত্যুর সাথে যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরেছে মেঘ।
মেঘ ফেরার পর তাঁর সাথে হওয়া অন্যায়ের পিছনে থাকা দোষীদের খুঁজতে উঠে পরে লেগেছে গিনি, জিষ্ণু থেকে নীল। ইতিমধ্যেই মদ খাইয়ে রূপের মুখ থেকে সমস্ত সত্যি বের করে নিয়েছে তাঁরা। পুলিশের হাতে সমস্ত প্রমাণ তুলে প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই জানা যায় রূপের বন্ধুর সাহায্যেই সব সত্যি বলিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে গিনি রূপকে চ্যালেঞ্জ করে ছিল প্রেসমিটে হাজির থাকার জন্য। সেই মত সাংবাদিকের ছদ্মবেশে হাজির হয়েছিল রূপ। কিন্তু নকল দাড়ি গোঁফ লাগালেও তাকে ঠিক চিনে ফেলে গিনি। এদিকে সকলের সামনে ভিডিও দেখানো শুরু হয়। ভিডিও দেখা যাচ্ছে রূপ বলছে, ‘আমরা তো অনেক দিন ধরে পার্টনার ইন ক্রাইম। এই পুরো ঘটনাটার আসল মাস্টার মাইন্ড ময়ূরী।’
আরও পড়ুনঃ অমানুষ ছিল, তাই থাকবে! পরাগ পালালেও সতীনকে বাঁচতে ঝাঁপিয়ে পড়ল শিমুল, ভাইরাল তোলপাড় করা পর্ব
সকলের সামনে এভাবে সত্যি বেরিয়ে আসবে এটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ময়ূরী। তাই রূপের কথা শেষ হওয়ার আগেই চিৎকার করে উঠে ভিডিও বন্ধ করিয়ে দেয়। এমনকি ল্যাপটপ থেকে পেনড্রাইভ খুলে ফেলে নষ্ট করে দিতে চায়। তখন গিনি জানায় একটা পেনড্রাইভ নষ্ট করে কি লাভ, এর অনেক কপি পুলিশের কাছে ও সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তাই অপরাধীদের আর পালানোর কোনো পথ নেই।
আরও পড়ুনঃ একসপ্তাহও টিকল না পর্ণার খুশি! জ্যাস না ফুলকি বাজিমাত করল কে? TRP তালিকা দেখে হতবাক নেটপাড়া
এখানেই শেষ নয়, বেগতিক দেখে পালানোর ফন্দি করে সাংবাদিক সেজে থাকা রূপ। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। এমনকি নীল গিয়ে রূপের মুখে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। যে কারণে রক্ত গড়াতেও দেখা গিয়েছে। এরপর রূপকে পুলিশ অ্যারেস্ট করলেও ময়ূরীকে জেলে নিয়ে যায়নি। তবে খুব বেশিদিন আর ময়ূরী নিজের কুকীর্তি লুকিয়ে রাখতে পারবে না তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। এখন অপেক্ষা আগামী পর্বের।