অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুল। পরাগকে বিষ দেওয়ার মিথ্যে অপবাদ থেকে মুক্তি পেল সে। সেই সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছে আসল অপরাধী প্রতীক্ষা। ধারাবাহিকের (Bengali Serial) গত পর্বেই এই দৃশ্য দেখেছেন দর্শকরা। তবে শিমুলের এই খুশি দীর্ঘস্থায়ী হল না! কারণ শীঘ্রই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে প্রতীক্ষা।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, পরাগকে বিষ দেওয়া অভিযোগ উঠেছিল শিমুলের বিরুদ্ধে। সেই মামলা গড়ায় আদালত অবধি। শুনানির প্রথম দিন মধুবালা স্বীকার করে নেন শিমুল (Shimul) ভালো মেয়ে। এরপর একই কথা শোনা যায় পরাগের কাকিমা, স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং বিপাশার মুখে। প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করে নেন শিমুল এমন কাজ করতে পারে না। এরপর ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

শেষ শুনানির দিন সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ মাথায় রেখে নিজের রায় ঘোষণা করেন জজ সাহেব। আরাধনা শিমুলকে বলে, এই পরিস্থিতিতে মনের জোর হারালে চলবে না। আদালতের রায় যদি বিপক্ষে আসে তাহলে তারা হাইকোর্ট অবধি যাবে। অন্যদিকে অনির্বাণ পরাগ (Parag), পলাশ (Palash), প্রতীক্ষাকে (Pratiksha) বলে দেয় আর কিছু করার নেই। তারা অনির্বাণের থেকেও আসল সত্যিটা লুকিয়ে রেখেছিল। তাই এবার শাস্তি পেতেই হবে।
আরও পড়ুনঃ কাছাকাছি আসছে সূর্য-ইরা, বিয়ের পিঁড়িতে দীপা-অর্জুন!’ফাঁস অনুরাগের ছোঁয়া’র তোলপাড় করা টুইস্ট
এরপর শিমুলকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন জজ সাহেব। অপরদিকে পরাগকে বিষ দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় প্রতীক্ষাকে। আদালতের রায় শুনে ভীষণ খুশি হয় শতদ্রু (Shatadru), বিপাশারা। কিন্তু পলাশ তখন বেজায় চিন্তিত হয়ে পড়ে। প্রতীক্ষাকে কী করে জেল থেকে ছাড়াবে? এই চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে তার মনে।

পলাশ গিয়ে পরাগকে বলে, প্রতীক্ষা সবটা তার ভালোর জন্যই করেছিল। কারণ বিষ খাওয়ানোর অপবাদে শিমুলের যদি জেল হতো, তাহলে তারা সবাই বেঁচে যেত। এসব বলে সে পরাগের থেকে টাকা চায়। আসলে প্রতীক্ষাকে ছাড়ানোর জন্য সে হাইকোর্টে আপিল করবে। সেই কারণে ভালো উকিল দরকার। তবে ভাইয়ের মুখের ওপর না বলে দেয় পরাগ। সে বলে, তার কাছে যা টাকা ছিল সেটা উকিলের পিছনে চলে গিয়েছে। আর একটা বছরেরই তো ব্যাপার! এরপর প্রতীক্ষা এমনিই বেরিয়ে আসবে। দাদা সাহায্য না করায় বেশ রেগে যায় পলাশ।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের দিনই সব শেষ, ময়ূরীর গুলিতে মৃত্যুর কোলে মেঘ! রইল ফাটাফাটি ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল পর্ব
অন্যদিকে শিমুলের বেকসুর খালাস পাওয়ার খবর দেখে রূপরেখা (Ruprekha)। এরপর প্রতীক্ষাকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেখে সে ভাবে, এই মেয়েটা তার কাজে আসতে পারে। সেই ভেবে সোজা পলাশকে ফোন করে রূপরেখা। সে বলে, প্রতীক্ষাকে ছাড়ানোর সব টাকা সে দেবে। একথা শুনে পলাশ জিজ্ঞেস করে, সে কেন তাদের সাহায্য করছে? তখন রূপরেখা বলে, শিমুল আর শতদ্রু তারও শত্রু। সে চায় না, ওরা সুখে থাকুক। তাহলে কি ফের তছনছ হয়ে যাবে শিমুলের জীবন? নতুন কোন ঝড় উঠতে চলেছে তার জীবনে?














