স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) প্রত্যেকটি পর্ব এখন দারুণ জমজমাট হচ্ছে। একদিকে একা হাতে সবকিছু সামলাচ্ছে দীপা (Deepa)। অন্যদিকে পরিবার ছেড়ে নতুন করে জীবন শুরু করেছে সূর্য। তার জীবনে অল্প অল্প করে জায়গা করে নিচ্ছে ইরা। এসবের মাঝেই চলে এল নতুন পর্ব। যা দেখার পর ‘সুদীপা’ অনুরাগীদের মন হয়তো একটু ভেঙে যেতে পারে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) নিয়মিত দর্শকরা জানেন, লাবণ্য ইতিমধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। দীপা এতদিন কত কষ্ট করেছে সেটা এখন ভালো করে জেনে গিয়েছে সে। তবে এবার আর দীপাকে একা সব কষ্ট ভোগ করতে দেবে না লাবণ্য। সেই কারণে অনুজা দীপার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেও লাবণ্য (Labanya) দীপার হাত ধরে তার বাড়ি চলে আসে।
আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, দীপার বাড়িতে বেশ হইহই করছে সোনা (Sona), রূপা (Rupa), অর্জুন, প্রবীররা, সেখানে ঠিক করা হয়, ছেলেরা আর মেয়েরা আলাদা ঘরে থাকবে। সবাই মিলে হইহই করে একসঙ্গে কাজ করতে থাকে। এরপর ঠিক হয়, আজ বাচ্চা সামলানোর দায়িত্ব মেয়েদের আর হেঁশেলে গিয়ে রান্না করবে ছেলেরা। কথা মতো অর্জুন-প্রবীররা রান্না করতে চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ তুঁতে অতীত, এই সুন্দরী টেলি নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধছেন আরেফিন! নতুন সিরিয়াল নাম জানেন?
অন্যদিকে আবার সূর্য যেখানে থাকে যে গ্রামে থাকে সেখানে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। সেই পিকনিকের সব কাজ তদারকি করার দায়িত্ব পড়েছে ইরার ওপর। এর মাঝেই ফোনে নেটওয়ার্ক না পেয়ে না পেয়ে বাইরে চলে যায় সে। বাইরে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে নিজের বাবার সঙ্গে গল্প করতে থাকে। এদিকে ইরাকে (Ira) দেখতে না পেয়ে গ্রামের সবাই বেশ চিন্তায় পড়ে যায়।
সূর্যর (Surjya) তখন মনে পড়ে যায়, গ্রামের আসার দিন বড় রকমের একটা বিপদে পড়েছিল মেয়েটা। তাই সে দেরি না করে ইরাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু যখন সে দেখে, ইরা বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে গল্প করছে, তখন তাকে বকাবকি করে ভেতরে চলে আসে। এদিকে আবার খিচুড়ি রান্না করতে গিয়ে তাতে লাউ দিতে যায় অর্জুন। তখন ললিত (Lalit) বলে, খিচুড়িতে লাউ দেয় না, বরং কপি দিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ দত্ত বাড়িতে তুলকালাম, সৃজন-পর্ণার সম্পর্ক ভাঙতে মারাত্মক ষড়যন্ত্র ঈশার! ফাঁস তোলপাড় করা পর্ব
এরপর কপি কাটতে গিয়ে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় অর্জুনকে (Arjun)। অন্যদিকে প্রবীর (Prabir) দাঁড়িয়ে শুধু কী কী করতে হবে তার অর্ডার দিতে থাকে। শেষমেষ বাধ্য হয়ে সেখানে আসে দীপা। অল্পের জন্য তাকে একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচায় অর্জুন। সম্পূর্ণ ঘটনা সোনাকে দেখিয়ে রূপা বলে, আমাদের বাবা কখনও ফিরবে না। তবে আমরা আমাদের মাকে একটা ভালো বাবা দিতে পারি। তাহলে কি মেয়েদের মুখ চেয়েই সূর্যকে ভুলে অর্জুনের হাত ধরবে দীপা?