‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুলের জীবনের কষ্ট যেন কিছুতেই শেষ হয় না। হাজার ভালো কাজ করেও শ্বশুরবাড়ির লোকের মন জিততে ব্যর্থ সে। এখন যেমন পরাগকে বিষ খাওয়ানোর মিথ্যে অপবাদে জেল খাটতে হচ্ছে তাকে। বিপদে এই দিনে শাশুড়ি মধুবালা থেকে শুরু করে বাপের বাড়ির লোক, সকলে তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, পরাগকে বিষ খাওয়ানোর অপবাদে জেলবন্দি শিমুল। ননদ পুতুল এবং পাড়ার বান্ধবীরা ছাড়া তার এই বিপদের দিনে এগিয়ে এসেছে প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রু। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে, উকিল আরাধনাকে নিয়ে শিমুলের (Shimul) সঙ্গে জেলে দেখা করতে গিয়েছে সে।
আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, শিমুল-শতদ্রুর সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান উকিল আরাধনা (Aradhana)। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক আছে এই বিষয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা পেতে চান তিনি। কিন্তু শিমুল তাতে আপত্তি প্রকাশ করে। সেকথা শুনে আরাধনা স্পষ্ট বলে, জেল থেকে বেরোতে চাইলে শিমুলকে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। নাহলে তাকে এখানেই পড়ে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ টুরু লাভ! শিমুল না হলে কাউকে বিয়েই করব না, শতদ্রুর ভালোবাসার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া
এসব শুনে শিমুল ফের শতদ্রুর (Shatadru) ভালো থাকা, বিয়ের কথা এসব বিষয় টেনে আনে। তখন আরাধনা বলে, আপনার সম্বন্ধে যা যা শুনেছি সবকিছুই দেখছি ভুল। লড়াই এখনও শুরু হয়নি, আর আপনি এখনই বলছেন লড়তে চান না। আপনার সমস্যা কি জানেন? আসলে আপনি বেশি বোঝেন।
এখানেই থামেনি আরাধনা। সে দৃঢ়ভাবে শিমুলকে বলে, আপনাকে যে মানুষগুলো ভালোবাসে, আপনার কাছে তাদের থেকে কম ভালোবাসার এবং কম পরিচিত মানুষদের গুরুত্ব বেশি। এখনও যেমন হচ্ছে। আপনি শতদ্রু কী চায় সেটা না দেখে ওর মায়ের কথা নিয়ে পড়ে আছেন। আরাধনার এই কথাগুলো শুনে চোখ খুলে যায় শিমুলের।
আরও পড়ুনঃ পরাগকে বিষ খাইয়েছে! কোর্টে গিয়ে শিমুলের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিল মধুবালা, রাগে ফুঁসছে দর্শকরা
অন্যদিকে আবার শতদ্রু-রূপরেখার আশীর্বাদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে দুই পরিবারের সদস্যরা। ছেলে আসছে না দেখে বেশ রেগে যায় রূপরেখার পরিবার। এরপর শতদ্রু বাড়ি ঢুকতেই সকলে একপ্রকার তেড়েফুঁড়ে ওঠে। তা দেখে শতদ্রু স্পষ্ট জানায়, এই বিয়েতে তার মত নেই। তার পক্ষে এই বিয়ে করা অসম্ভব। এখনও পর্যন্ত রূপরেখার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়নি। পুরো বিষয়টাই একটা ডিল। আর যদি এই ডিল হয় তাহলে কারোর ভালো হবে না। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে সে কিছু করতে চায় না, সাফ জানিয়ে দেয় শতদ্রু। এদিকে আশীর্বাদের দিন বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় বেশ অবাক হয়ে যায় রূপরেখা।