শত অপমান সত্ত্বেও পরাগ ও তার পরিবারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেনি ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুল। প্রাক্তন স্বামীর অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে শুনে ফের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সে। তবে পলাশ একথা জানা মাত্রই শিমুলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে শুরু করে। পুতুলের বিয়ের মাঝেই পরাগের অ্যাক্সিডেন্টের কথা ফাঁস করে দেয় সে।
জি বাংলার (Zee Bangla) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, রঞ্জার বারণ সত্ত্বেও পুতুলের সিঁথি রাঙিয়ে দেয় তীর্থঙ্কর। অন্যদিকে পলাশ কান ভাঙানোর চেষ্টা করলেও এবার শিমুলের (Shimul) পাশে দাঁড়ায় মধুবালা (Madhubala)। তিনি বলেন, অতীতে সবার কথায় কান দিয়ে অনেকবার শিমুলকে ভুল বুঝেছেন। এবার সেই ভুল আর করবেন না। তিনি শুধু চান, পরাগ (Parag) সুস্থ হয়ে উঠুক আর শিমুল ফের বাড়ির বউ রূপে ফিরে আসুক।
এরপর পরাগকে দেখতে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয় পলাশ (Palash) আর তুতুল (Tutul)। হাসপাতালে এসে পলাশ জানতে পারে, পরাগের অপারেশন করা হবে। অপারেশন থিয়েটার রেডি হয়ে গিয়েছে। সে তখন ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে, কীসের অপারেশন? বাড়ির লোক আসেনি, তাহলে বন্ড পেপারে কে সই করলো?
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর মুখে দীপা, সূর্যকে সরিয়ে স্বামীর পরিচয়ে এগিয়ে এল অর্জুন! ফাঁস তোলপাড় করা প্রোমো
বিপাশা (Bipasha) তখন জানায়, বাড়ির লোক না থাকায় তারাই শিমুলকে বন্ড পেপারে সই করতে বলে। নাহলে অপারেশনের জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছিল। শিমুল সই করেছে শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে পলাশ। সে বলে, শিমুল তাদের বাড়ির সদস্য নয়। তাহলে সে কোন অধিকারে সই করল? শিমুল তখন পলাশকে বলে, তুমি চাইলে আমার সইয়ের নীচে একটা সই করে দাও। কিন্তু দয়া করে এই অপারেশনটা হতে দাও।
পলাশ সেসব কথায় কান না দিয়ে বলে আমি থানায় কেস করবো। এটা কেমন হাসপাতাল যে কেউ এসে সই করে দিচ্ছে! আমি এই হাসপাতালের নামেও কেস করে দেব। তখন ডাক্তার বলেন, শিমুল জানিয়েছে সে পরাগের প্রাক্তন স্ত্রী। এটা শুনে পলাশ বলে, আমরা সেটা মানি না। আপনারা ওর আইডি দেখেছেন? শিমুল তখন বলে, আমি সবকিছু জমা করে দেব। দয়া করে তুমি অপারেশনটা শুরু হতে দাও।
আরও পড়ুনঃ পোড়া কপাল, আবারও পরাগকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত শিমুল! আগাম পর্ব ফাঁস হতেই ঠিক হয়েছে বলছে নেটপাড়া
এসব শুনেও পলাশ মানছে না দেখে বিপাশা বলে, যে ভাই নিজের দাদাকে বিষ খাওয়াতে পারে তার মুখে এসব কথা মানায় না! সবার সামনে একথা ফাঁস হওয়ায় মুখ বন্ধ হয়ে যায় পলাশের। এরপর ডাক্তারবাবু বলেন, খুব বেশি হলে তার ডাক্তারির লাইসেন্স হয়তো বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু তাই বলে একজন রোগীর প্রাণ বাঁচানো থেকে তিনি কখনও পিছু হটবেন না!