• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

পরাগের মুখে ঝামা, আদালতে শিমুলকে নির্দোষ প্রমাণ করে দিল আরাধনা! ফাঁস তোলপাড় করা পর্ব

নিত্যনতুন চমক দেওয়ায় জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’র (Kar Kache Koi Moner Kotha) জুড়ি মেলা ভার। প্রত্যেক সপ্তাহেই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) গল্পে কোনও না কোনও টুইস্ট নিয়ে আসেন নির্মাতারা। এখন যেমন পরাগকে বিষ দেওয়ার মিথ্যে অপবাদে জেল খাটছে শিমুল। এই মুহূর্তে আদালতে তার শুনানি চলছে। গত পর্বে দেখানো হয়, পরাগকে কাঠগড়ায় ডাকা হয়েছে। এরপরেই কান্নাকাটির নাটক শুরু করে সে।

অনির্বাণ পরাগকে (Parag) জিজ্ঞেস করে, সে কেন শিমুলকে (Shimul) ডিভোর্স দিতে চেয়েছিল? জবাবে পরাগ বলে, সে শিমুলকে ভালোবাসতো। কিন্তু শিমুল বিয়ের পরেও প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রুর সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করেনি। যেটা তার একেবারেই পছন্দ ছিল না। এরপর নিজের কথা প্রমাণ করতে শিমুল শতদ্রুকে (Shatadru) মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছে সেই ছবিটা দেখায় পরাগ।

   

Kar Kache Koi Moner Kotha Anirban Aradhana

তা দেখে আরাধনা (Aradhana) বলে, এটা ভীষণ সাধারণ একটা জিনিস। আমাদের বাড়িতে অতিথি এলে আমরাও তাকে মিষ্টি খাওয়াই। আর শতদ্রু শিমুলের পুরনো বন্ধু তাই একজন বন্ধু আরেকজন বন্ধুকে মিষ্টি খাওয়াতেই পারে। এখানে সমস্যা কোথায়? জবাবে অনির্বাণ (Anirban) বলে, খাওয়াতে পারে, কিন্তু এত জোরাজুরির কী আছে? সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে ওঠে আরাধনা। সে বলে, আপনি সঠিক ভাষার প্রয়োগ করুন। নাহলে যার বিষয়ে আপনি বলছেন তিনি আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে দিতে পারে।

 আরও পড়ুনঃ তিলেতিলে ভাঙছে সাজানো সংসার, নিলাম হচ্ছে সেনগুপ্ত বাড়ি! ফাঁস ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মহাধমকা পর্ব

এরপর অনির্বাণ পরাগকে প্রশ্ন করে, আপনি শতদ্রুর জন্য শিমুলকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন, তাই তো? উত্তরে পরাগ সম্মতি জানিয়ে বলে, আমি আর ওগুলো মানতে পারছিলাম না। প্রাক্তন স্বামীর মিথ্যাচার দেখে শিমুল মনে মনে অবাক হয়ে যায়। এরপর পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডাকা হয়। তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বলে, পরাগ না একজন ভালো মানুষ আর না ভালো শিক্ষক। আমি সবসময় ভয় পেতাম কোনোদিন স্কুলে না কোনও সমস্যা হয়।

Kar Kache Koi Moner Kotha Parag and School principal

পাশাপাশি তিনি এও বলেন, শিমুল একবার পরাগের নামে স্কুলে অভিযোগ করেছিল। সে জানিয়েছিল, পরাগ তাকে মারধর করে। পাশাপাশি পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এও মেনে নেন, শিমুল খুব ভালো মেয়ে। সব কথা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে শুনে বেশ ভয় পেয়ে যায় পরাগ। তখন অনির্বাণ দাবি করে, প্রধান শিক্ষক মহাশয় শিমুলকে নিজের মেয়ের চোখে দেখে। তাই জন্য তিনি এই ধরণের কথা বলছেন।

আরও পড়ুনঃ ‘মতিভ্রম হয়েছিল তখন’! ইন্ডিয়ান আইডলে জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপের কথা জানালেন কুমার শানু

অনির্বাণের কথার বিরোধিতা করে আরাধনা বলে, এখানে প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের কোনও স্বার্থ জড়িয়ে নেই। এরপর আদালতের সামনে একটি অডিও ক্লিপ শুনিয়ে আরাধনা প্রমাণ করে দেয় পরাগ শিমুলকে বিষ খাইয়েছিল। তারপর আদালতের শুনানি এদিনের মতো বন্ধ হয় এবং পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষারা নিজেদের বাড়ি ফিরে আসে। তাদের মনে একটা ভয় কাজ করতে থাকে। বাড়ি ফেরার পর পুতুল পরাগকে বলে, পাগলেও নিজের ভালো বোঝে, কিন্তু তুই বুঝিস না।