বর্তমানে ভীষণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপা এবং তার গোটা পরিবার। একদিকে পারিজাত সেনের চক্রান্ত করে হাতিয়ে নিয়েছে সেনগুপ্ত বাড়ি। অন্যদিকে তিস্তার পর দীপাকে ভুল বুঝতে শুরু করেছে জয়! সবার ভালো চাইলেও ধীরে ধীরে যেন সকলের চক্ষুশূল হয়ে উঠছে দীপা।
স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুসারে, নিজের পরিবার, সন্তানদের ফেলে অনেক দূরে চলে গিয়েছে সূর্য। ছোট্ট একটা গ্রামে নতুন করে নিজের জীবন সাজাতে শুরু করেছে সে। অন্যদিকে সূর্যর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেলেও সেনগুপ্ত পরিবারের হয়ে লড়াই করে যাচ্ছে দীপা (Deepa)। প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের যাতে রাস্তায় রাস্তায় না ঘুরতে হয়, সেই জন্য তাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে সে।
আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, ইরার (Ira) ব্যবহারে তিতিবিরক্ত হয়ে সূর্য তাকে রান্নাঘরে বন্ধ করে দেয়। সেখান থেকে বেরোতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার নাটক করে ইরা। এসব দেখে চিন্তিত হয়ে পড়ে সূর্য। সে সঙ্গে সঙ্গে ইরাকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে আসে এবং তার প্রেসার মাপতে থাকে। তখন সূর্য (Surjya) বুঝতে পারে ইরার আসলে কিছু হয়নি। সে নাটক করছিল। তা দেখে প্রচণ্ড রেগে যায় সূর্য। তার এত মেজাজ দেখে ইরা ঠিক করে সে এখানে বেশিদিন থাকবে না। কিন্তু যারা সূর্যর দেখভাল করে তারা চায় না ইরা কোথাও যাক। কারণ তারা জানে এখানে সূর্য ভীষণ একা।
আরও পড়ুনঃ শিমুল নির্দোষ, বিষ দিয়েছে পলাশ-প্রতীক্ষা, সত্যি জানতেই কেঁদে ভাসাচ্ছে পরাগ! ফাঁস তুলকালাম পর্ব
এদিকে আবার তিস্তার (Tista) ফোন পেয়ে তাকে দেখতে ভিক্টরদের বাড়ি চলে আসে জয় (Joy)। এসে দেখে তিস্তা কাঁদছে। তখন জয় জানতে চায় কী হয়েছে। তিস্তা সব ঘটনা বলতে যাবে তখন বুদ্ধি করে পুরো বিষয়টাকে ঘুরিতে দেয় পৃথা (Pritha) আর ভিক্টর (Victor)। তিস্তাও আর জয়কে কিছু বলতে পারে না। কিন্তু মনে মনে দীপার পর ভীষণ রাগ হয় তার। সে বলে, বৌদিভাই এত বাড়াবাড়ি না করলে তাকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে হতো না।
অন্যদিকে দীপার সামনেই জয় আর প্রবীর (Prabir) ঝামেলা করতে থাকে। যে জয় সবসময় বৌদিদির পাশে থেকেছে, সে আস্তে আস্তে করে তার বিরুদ্ধে চলে যেতে থাকে। কিন্তু দীপা তখন তাকে বোঝায়, এই কঠিন সময়ে ভেঙে না গিয়ে তাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নীল-মেঘের বিয়েতে হবে তুলকামাল কান্ড! ‘ইচ্ছে পুতুল’র অন্তিম পর্ব নিয়ে মুখ খুললেন মৈনাক
এরপর সবাই মিলে সেনগুপ্ত বাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায়, পারিজাত সেন (Parijat Sen) তাদের বাড়ি নিলামে তুলেছে। অনেক করে দীপা তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। এরপর তারা দেখে সেখানে মিস্টার কুমার এসে হাজির হয়েছে। তাকে নিয়ে দীপার মনের সন্দেহ যে ঠিক ছিল তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে যায়।