এই মুহূর্তে নারীদের দুর্দশা নিয়ে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হচ্ছে। বাস্তবভিত্তিক কাহিনী দেখিয়ে দর্শকমহলে প্রশংসা আদায় করে নেওয়া এমন দুই সিরিয়াল হল ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) এবং ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। মেঘ এবং শিমুলের গল্পের জনপ্রিয়তা দর্শকমহলেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এবার আচমকাই বন্ধ হতে চলেছে এই দুই সিরিয়াল!
আজ থেকে প্রায় ১০ মাস আগে শুরু হয়েছিল ‘ইচ্ছে পুতুল’র সফর। মেঘ-নীল-ময়ূরীর কাহিনী শুরুতে টিআরপি (TRP) তালিকায় কামাল না দেখাতে পারলেও আস্তে আস্তে স্থান করে নিচ্ছে দর্শকমনে। গত সপ্তাহে বেঙ্গল টপার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’কে টেক্কা দিয়ে ৫.৫ রেটিংও আদায় করে নিয়েছিল এই মেগা। কিন্তু এবার চ্যানেলের সঙ্গে বচসার জেরে নাকি কপাল পুড়তে চলেছে মেঘ-নীলের!
অপরদিকে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের ড্রয়িংরুমের অংশ হয়ে উঠেছে শিমুল-পুতুলরা। টিআরপি তালিকাতেও প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে এই ধারাবাহিকের নাম। জনপ্রিয়তা-রেটিং দুই থাকা সত্ত্বেও মাঝপথেই নাকি বন্ধ হতে চলেছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’!
আরও পড়ুনঃ মেঘের কাছে ক্ষমা চেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিল গিনি! ফাঁস ইচ্ছে পুতুলের মোড় ঘোরানো পর্ব
আসলে মেঘ-শিমুল দু’জনের সিরিয়ালই অর্গানিক প্রোডাকশনের। গত কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, জি বাংলার সঙ্গে নাকি এই প্রযোজনা সংস্থার মনোমালিন্য হয়েছে। আর সেই জন্যই নাকি একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে ‘ইচ্ছে পুতুল’ এবং ‘কার কাছে কই মনের কথা’র সম্প্রচার।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ৬ অক্টোবর অর্থাৎ আগামীকাল ৯:৩০টা থেকে শুরু হতে চলেছে ‘দাদাগিরি’র নতুন সিজন। সেই জন্য এখন থেকে সপ্তাহে চারদিন দেখানো হবে ‘ইচ্ছে পুতুল। আর তাতেই নাকি ঘোর আপত্তি রয়েছে নির্মাতাদের।
তাঁদের বক্তব্য, সপ্তাহে মাত্র চারদিন সম্প্রচারিত হলে ‘ইচ্ছে পুতুল’র টিআরপিতে এর প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গেই ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হবে। কিন্তু চ্যানেল কর্তৃপক্ষ নাকি কোনও কথাই শুনতে রাজি নয়। আর সেই জন্য নাকি অর্গানিক প্রোডাকশনের দু’টি ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় সিরিয়ালপ্রেমী মানুষদের মন বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত জি বাংলার তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও অফিশিয়াল ঘোষণা করা হয়নি। এবার দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় চ্যানেল।