‘চাপকে পিঠের ছাল তুলে দেব’, বাংলা সিনেমার এই ডায়লগ আজও সকলেরই মনে রয়েছে। আসলে রঞ্জিত মল্লিকের (Ranjit Mallick) দাপুটে অভিনয় কখনোই ভোলার মত নয়। পর্দায় প্রসেনজিৎ হোক বা অভিষেক ভুল করলেই বেল্ট (Belt) দিয়ে সপাৎ সপাৎ! তবে পর্দার বেল্ট ম্যান বাস্তবে কোন বেল্ট পছন্দ করেন? এতদিনে জানা গেল উত্তর।
একসময় রোম্যান্টিক ছবিতে কাজ করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। কিন্তু উত্তম কুমার পরবর্তী সময়ে বড় দাদা বা বাড়ির বড় ছেলের চরিত্রে তাকে বেশ পছন্দ করেছিল দর্শক। চোখের সামনে অন্যায় দেখলে সেটা কখনোই প্রশয় দিতেন না তিনি। বদমাইশ হোক সন্ত্রাসবাদী হোক বা পরিবারের কেউ, বেল্ট দিয়েই শুটিয়ে লাল করে দিতেন রঞ্জিত মল্লিক।

পর্দায় বেল্ট দিয়ে এমন অ্যাকশন করার ফলেই নেটিজেনরা ‘বেল্টম্যান’ বলতে শুরু করেন রঞ্জিত মল্লিককে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ‘চাপকে পিঠের ছাল তুলে দেব’ এই ডায়লগের ভিডিওটিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই পর্দার বেল্টম্যান কি ধরণের বেল্ট পড়তে ভালোবাসেন তা জানার আগ্রহ জন্মেছে নেটিজেনদের মনে।
আরও পড়ুনঃ ‘স্বামী’ বলে মানেন মনে-প্রাণে! উত্তম কুমার নয়, সাবিত্রী চ্যাটার্জীর আসল স্বামী কে জানেন?
এবার টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষৎকারেই এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে। রঞ্জিত মালিককে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন কোম্পানির বেল্ট পড়েন তিনি? উত্তরে কিছুটা হেসে অভিনেতা বলেন, ‘মজার একটা প্রশ্ন করেছেন। আমি হয়তো বেল্ট ম্যান হতে পারি, কিন্তু সত্যি বলতে কি আমার বেল্ট নিয়ে কোনো অবসেশন নেই। যে কোনো একটা বেল্ট হলেই হল’।
তবে এরপর রঞ্জিত মল্লিক আরও জানান, ‘একটু শক্তপোক্ত বেল্ট পড়তেই ভালোবাসি। যে কোনো রঙের বেল্ট পড়তেই ভালো লাগে। তবে ক্যাটক্যাটে রং হলে সেটা পছন্দ করি না। পরে দেখেছি ওরকম, কিন্তু ভালো লাগেনি। আর দামের কথা বলতে গেলে তেমন কোনো ব্যাপার নেই, তবে টেকসই হলেই হয়। অবশ্য উপহারে অনেক বেল পেয়েছি, তাই আলাদা করে বেল্ট কিনতে হয়নি কোনোদিন’।
আরও পড়ুনঃ বুম্বাদাকে রক্ষা করতে সদা প্রস্তুত, প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির বডিগার্ডের মাইনে কত জানেন?

বেল্টের প্রসঙ্গে একটি বেশ মজার গল্পও শেয়ার করেন রণজিৎ মল্লিক। তিনি জানান, একবার দুবাইতে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। যেখানে মীর আফসার আলীও উপস্থিত ছিলেন। একসময় হটাৎ করেই সবাইকে বেল্ট খুলতে বলা হয়, সবাই করেও। তারপর মীর সেই বেল্ট সামনে এলে বলে, ‘নিন এবার যত খুশি মারুন…’। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময় বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা।














