‘দাদার কীর্তি’ ছবির হাত ধরে টলিউডে পা রেখেছিলেন তাপস পাল (Tapas Paul)। প্রথম ছবিতেই তুখোড় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতাদের তালিকায় স্থান করে নেন। চন্দননগরের ছেলে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে হয়ে ওঠেন টলিউডের (Tollywood) প্রাণ।
তাপসের ডেবিউর ঠিক এক বছর আগে সিনেদুনিয়ায় পা রেখেছিলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)। প্রায় একই সময় কেরিয়ার শুরু হওয়ার ফলে দু’জনের মধ্যে বরাবরই ভাইয়ের মতো সম্পর্ক ছিল। প্রতিযোগিতা নয়, বরং ভালো সখ্যতা ছিল তাঁদের। একবার এক সাক্ষাৎকারে তাপস পালকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন চিরঞ্জিত।
প্রায় সমসাময়িক বলে তাপসের কেরিয়ার খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন চিরঞ্জিত। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির সুপারস্টারদের মধ্যে একজন হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে একটা সময়ের পর থেকে অবসাদ গ্রাস করতে শুরু করে তাঁকে। আচমকাই পাল্টে যেতে শুরু করে অভিনেতার কেরিয়ার গ্রাফ।
আরও পড়ুনঃ কাজ করেও টাকা পাইনি…, ‘দাদাগিরি’তে বোমা ফাটালেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
শোনা যায়, রাতারাতি এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেননি তাপস পাল নিজে। ভ্রাতৃসম তাপসের এই অবস্থা দেখে দুঃখ জাহির করেছিলেন চিরঞ্জিত। অভিনেতার মৃত্যুর পর শুধু বলেছিলেন, তিনি শোকস্তব্ধ। তাপসের মৃত্যুটা যে চিরঞ্জিতের জন্য অনেক বড় ধাক্কা ছিল তা এখান থেকেই বুঝে নেওয়া যায়।
চিরঞ্জিত নিজের চোখে তাপসের উত্থান দেখেছিলেন। সেই সঙ্গেই আচমকা কেরিয়ার গ্রাফ নীচের দিকে নামাটাও দেখেছিলেন অভিনেতা। যা দেখে মনে হয়েছিল, রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়াটাই কোথাও গিয়ে যেন ‘কাল’ হয়ে দারিয়েছিল তাপস পালের জন্য।
আরও পড়ুনঃ ‘চেটে চেটে খাবো’, ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে সোহমের ‘হরলিক্স’ ডায়লগ শুনে হাসি চাপা দায় সৌরভের
একবার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের কাছে চিরঞ্জিত বলেছিলেন, তাঁকে কিংবা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কঠিন লড়াই করতে হয়েছিল। কোথাও গিয়ে সেটা তাপস পালকে করতে হয়নি। আর সেই কারণেই অভিনেতা মনে করেন, কেরিয়ারের শুরুতে স্ট্রাগলটা জরুরি। তাপস পালকে শুরু থেকেই ভাইয়ের মতো ভালোবাসতেন চিরঞ্জিত। যে কারণে অভিনেতার এই পরিস্থিতিতে ধাক্কা পেয়েছিলেন তিনিও।