Dharmendra Remembers Suchitra Sen: বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) স্বর্ণযুগের শিল্পী হলেন সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen)। টলিউডের ‘মহানায়িকা’ তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর এত বছর পরেও তাঁকে ভুলতে পারেননি সিনেপ্রেমী মানুষরা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বলিউডের (Bollywood) স্বনামধন্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্ররও (Dharmendra)। ‘মিসেস সেন’র একটি স্মৃতি আজও মনের মণিকোঠায় রেখে দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ‘রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি’তে শাবানা আজমির ঠোঁটে ঠোঁট (Kiss) রেখে চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছেন ধর্মেন্দ্র। তবে এই প্রথম নয়। অতীতেও একবার চুম্বনের জন্য সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ঘটনা এটি। ‘মহানায়িকা’ সুচিত্রা সেনের খোলা পিঠে চুমু এঁকে দিয়েছিলেন অভিনেতা। আসলে সেই সময় এভাবেই বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ করতেন বিনোদন দুনিয়ার তারকারা। যদিও ধর্মেন্দ্র-সুচিত্রার এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর বিস্তর চর্চা হয়েছিল।

১৯৬৬ সালে ‘মমতা’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং সুচিত্রা সেন। ‘উত্তম ফাল্গুনী’ ছবির হিন্দি রিমেক ছিল এটি। পরিচালনা করেছিলেন অসিত সেন। এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গিয়েছিল সুচিত্রা সেনকে। এর মধ্যে ‘সুপর্ণা’ নামের চরিত্রটির নায়ক ছিলেন ধর্মেন্দ্র।
‘মমতা’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েই দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল ধর্মেন্দ্র এবং সুচিত্রার। আজও মাঝেমধ্যেই ‘মহানায়িকা’র সঙ্গে কাটানো সোনালি মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ‘শোলে’ অভিনেতা। চলতি বছরেও অভিনেত্রীর সঙ্গে তোলা একটি ছবি নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ কোটিপতির জন্য ছেড়েছিলেন বলিউড! কোথায় হারিয়ে গেলেন ১০ হাজার কোটির মালকিন অভিনেত্রী?

বেশ কয়েক বছর আগে এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ‘আমি অতীতে নন্দা, নূতনের মতো কালজয়ী অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে সুচিত্রা সেন ছিলেন একেবারে ভিন্ন। ক্লাসি ছিলেন তিনি। যেমন সুন্দরী, তেমন গাম্ভীর্য ছিল তাঁর। আর তেমনই প্রতিভাবান ছিলেন তিনি’।
View this post on Instagram
বাংলার ‘মহানায়িকা’র অভিনয়ের প্রশংসা করে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ‘চোখ, ঠোঁট, মুখের শিরা-উপশিরা ব্যবহার করেও যে অভিনয় করা যায় সেটা উনি আমায় শিখিয়েছেন। ভ্রু তুলেই অনেক কিছু বুঝিয়ে দিতেন উনি। ক্ল্যাইম্যাক্সের সময় আদালতে ওনার মৃত্যুর দৃশ্য আমার আজও মনে আছে। সেকথা ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়। এত নিখুঁত অভিনয়ও করা যায়? আমি আজও ভাবি’।














