বাঙালির খাবার ও ভ্রমণের (Travelling) প্রতি টান যে রয়েছে সেটা আলাদা করে বলার কিছুই নেই। ছুটি পেলেই ঘুরু ঘুরু করতে ভালোবাসেন সকলেই। বিশেষ করে জানুয়ারি মাসে ঠান্ডায় সপ্তাহ শেষে (Weekend Trip) কাছেপিঠেই যদি কমবাজেটে ঘুরে আসা যায় তাহলে সোনায় সহজ। চিন্তা নেই আজ কলকাতার (Kolkata) কাছের সেরা ৫টি ‘উইন্টার ডেস্টিনেশনে’র খোঁজ নিয়ে হাজির বংট্রেন্ড।
রসিকবিল (Rasikbil) : উত্তরবঙ্গের কোলে লুকিয়ে থাকা অফবিট ডেস্টিনেশনগুলির মধ্যে একটি হল রসিকবিল। প্রকৃতির কোলে নিজের শীতের ছুটি কাটাতে চাইলে চলে যেতে পারেন সবুজে সমৃদ্ধ এই স্থানে। হরেক রকম গাছ, পাখি দেখতে পাবেন এখানে। সব মিলিয়ে, প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের কাছে স্বর্গের চেয়ে কম নয় এই স্থান।
বকখালি (Bakkhali) : শহুরে কোলাহল থেকে দূরে বকখালিতেও আপনি আপনার শীতের ছুটি কাটাতে পারেন। সমুদ্রপ্রেমী মানুষ হলে এখানে গিয়ে জমে যাবে আপনার ট্রিপ। কলকাতা থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানে গেলে আপনি বোটে করে ঘুরে আসতে পারেন জম্বু দ্বীপ থেকে।
আরও পড়ুনঃ বাই বাই দার্জিলিং! টাইগার হিল নয়, অফবিট এক গ্রামে গেলেই দেখতে পাবেন জীবনের সেরা সূর্যোদয়
সজনেখালি, সুন্দরবন (Sajnekhali, Sundarban) : শীতের ছুটিতে আপনি যেতে পারেন সবুজে ঘেরা সুন্দরবনেও। মন চাইলে ঘুরে দেখতে পারেন সজনেখালি বার্ড স্যাংচুয়ারি। শীতের এই মরসুমে দেখা মিলতে পারে নানান ধরণের পরিযায়ী পাখির। এছাড়া ভাগ্য ভালো থাকলে সুন্দরবনে গিয়ে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের।
আরও পড়ুনঃ ছবির মত সুন্দর চা বাগান, রইল এবার শীতে ঘোরার জন্য সেরা অফবিট লোকেশনের হদিশ
মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur) : সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ ডেস্টিনেশন হল মুকুটমণিপুর। কলকাতা থেকে প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার দূরে এই স্থানে ঘুরতে গেলে যেমন দেখা মিলবে পাহাড়ের, তেমনই মন কাড়বে বিরাট হ্রদ।
দীঘা (Digha) : কমবেশি প্রায় প্রত্যেক বাঙালিই একবার না একবার দীঘায় ঘুরতে গিয়েছেন। হাতে দু-একদিনের ছুটি থাকলেই দীঘার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। আপনি যদি নিজের শীতের ছুটিটা সমুদ্রের তীরে বসে কাটাতে চান তাহলে চলে যেতেই পারেন দীঘায়।
আরও পড়ুনঃ দীঘা-পুরি অতীত! শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছের এই অফবিট সমুদ্র সৈকত
শহুরে কোলাহল থেকে দূরে জমে যাবে আপনার শীতের ছুটি। তাছাড়া দীঘাতে এখন একাধিক দর্শনীয় স্থান তৈরী হয়েছে। নিউ দিঘার শেষের দিকে রয়েছে ঢেউ সাগর যেটা বিকেল থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে। নাইটলাইফ ফটোশুটের জন্য এই জায়গায় একবার অন্তত যেতেই হবে।