দু’দিনের বৃষ্টির পরেই রাজ্যে প্রবেশ করেছে উত্তুরে হাওয়া। শীতের দাপটে এখন রীতিমতো কাঁপছে বঙ্গবাসী। অনেকে আবার এই ঠাণ্ডার মরসুমে বেরিয়ে পড়েছেন ঘুরতে (Travel)। আর ‘উইন্টার ডেস্টিনেশন’র কথা উঠলেই বাঙালির মাথায় সবার প্রথম যে স্থানের নাম আসে তা হল উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। অনেকেই বলেন, দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময় হল এটা।
এখন অবশ্য পর্যটকদের মধ্যে চেনা জায়গার বদলে অফবিট জায়গার (Offbeat Destination) জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অচেনা-অজানা জায়গা এক্সপ্লোর করতে পছন্দ করছেন অনেকেই। আজ তাই আপনার জন্য এমনই একটি স্থানের খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা। কার্শিয়াংয়ের কাছাকাছি এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের নাম হল বেলতার (Beltar)।
কার্শিয়াংয়ের মার্গারেট হোপ মোড় থেকে নীচের দিকে যে রাস্তাটি চলে গিয়েছে সেটি ধরে আসতে হয় বেলতারে। এখানে আসার পথে পড়বে দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় টয়ট্রেন স্টেশন টুং। চাইলে এখান থেকেও আপনি বেলতার যেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ অল্প বাজেটেই বর্ষেশেষে গোয়া ভ্রমণ! রইল সি-বিচের কাছেই সস্তা-সুন্দর ৫ হোটেলের হদিশ
চারিদিকে সবুজ চা-বাগানে ঘেরা একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম হল বেলতার। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবারের বাস এখানে। কিছু হোমস্টে এবং রেস্টুরেস্টও রয়েছে এই ছোট্ট গ্রামে। মূলত চা-বাগানকে কেন্দ্র করে কার্শিয়াংয়ের (Kurseong) এই অফবিট ট্রাভেল ডেস্টিনেশনটি গড়ে উঠেছে। এখানে চা-বাগানের মাঝে ছোট্ট কটেজে থাকার জায়গাও রয়েছে।
বেলতার বেশ অন্যরকম একটি ট্রাভেল ডেস্টিনেশন। এর মাঝে একটি সুইমিং পুল রয়েছে। দূর থেকে যদি দেখা হয়, তাহলে মনে হবে যেন হ্রদ। আর এর চারিদিকে রয়েছে কটেজ। সব মিলিয়ে, বেলতারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে দূর হয়ে যাবে সারা বছরের জমে থাকা ক্লান্তি।
আরও পড়ুনঃ অল্প খরচে সারাজীবন মনে রাখার মত ট্রিপ! রইল উত্তরবঙ্গের অফবিট এক গ্রামের হদিশ
নির্জন পাহাড়ি গ্রামের কথা শুনলে আমাদের মাথায় প্রথমে যে চিত্র ভেসে ওঠে, বেলতার একেবারে তেমনই দেখতে। এর কাছাকাছি একটি ঝরনা রয়েছে। বর্ষাকাল এলে সেটি ফুলেফেঁপে ওঠে। পাশাপাশি এখানে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ইচ্ছা হলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সূর্যোদয় দেখার পাশাপাশি গোটা গ্রামে পায়ে হেঁটে দেখে ফেলতে পারেন। সব মিলিয়ে, ছুটি কাটিয়ে কখন যে বাড়ি ফেরার সময় চলে আসবে তা বুঝতে পারবেন না আপনি নিজেও।