শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মধ্যে পাহাড়ে যাওয়ার (Hill Travel) ধুম পড়ে গিয়েছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের এই মনোরম আবহাওয়ায় অনেকেই কয়েকটা দিন পাহাড়ের কোলে কাটাতে চাইছেন। কিন্তু বারবার সেই এক দার্জিলিং (Darjeeling) যেতে কি ভালোলাগবে? ম্যাল রোডের ঠাসা বেরিয়ে এবার যদি একটু অফবিট পাহাড়ি গ্রাম (Offbeat Hill Station) থেকে ঘুরে আসা যায় তাহলে কেমন হয় বলুন তো?
আজকের প্রতিবেদনে আমরা যে স্থানের সুলুকসন্ধান নিয়ে এসেছি সেখানে গেলে জুড়িয়ে যাবে আপনার শরীর-মন। নদীর কুলকুল শব্দ, পাখির কিচিরমিচির শুনতে শুনতে কখন যে দিন পেরিয়ে রাত হয়ে যাবে ধরতে পারবেন না আপনি। সব মিলিয়ে, শহুরে কোলাহল থেকে কয়েকটা দিন একান্তে কাটানোর জন্য এই স্থান একেবারে আদর্শ। যদিও অফবিট বলে এখনও অনেক মানুষ এই জায়গার বিষয়ে তেমন জানেন না।
ছবির মতো সুন্দর এই পাহাড়ি জায়গার নাম হল যোগীঘাট (Jogighat)। রিয়াং নদীর একেবারে পাশে অবস্থিত এই স্থানে গেলে হারিয়ে যাবে আপনার মন। পাহাড়-জঙ্গলের অপূর্ব মেলবন্ধনে তৈরি এই স্থানের সৌন্দর্য ভাষায় বয়ান করা সত্যিই ভীষণ কঠিন।
আরও পড়ুনঃ একবার গেলেই ভালো হবে মন! হালকা শীতে ঘুরে আসুন এই অফবিট পাহাড়ি গ্রাম থেকে, রইল ঠিকানা
প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মনোরম স্থানে ঘোরার মতো একাধিক জায়গা রয়েছে। বলে রাখি, এখানে খুব ভালো মানের কমলালেবু পাওয়া যায়। এখান থেকে খুব কাছে অবস্থিত স্যালামান্ডারের বাসভূমি নামথিং পোখরি। এছাড়া কার্শিয়াংও এখান থেকে খুব একটা দূরে নয়।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের কোলে ছবির মতো সুন্দর গ্রাম! এই অফবিট লোকেশনে একবার গেলে তৃপ্ত হবে শরীর-মন
কীভাবে যাবেন : শিলিগুড়ি এবং নিউ জলপাইগুড়ি দু’ভাবেই যোগীঘাট যাওয়া যায়। রোহিণী রোড, কার্শিয়াং, দিলারাম হয়ে যেমন এখানে যেতে পারবেন, তেমনই সেবক রোদ, মংপু, লাবদা হয়েও যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন : এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু ১২০০-১৫০০ টাকা মতো খরচ হবে। এছাড়া আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী মানুষ হন তাহলে রিয়াং নদীর পাশে তাঁবু খাটিয়েও থাকতে পারবেন।