পুজোর ছুটিতে সবসময় দূরে ঘুরতে যাওয়া (Travel Destination) সম্ভব হয় না। পকেটে চাপ না দিতে সেই জন্য অনেকেই ঘুরে আসেন কলকাতার কাছাকাছি সমুদ্রসৈকত থেকে। তবে তিলোত্তমার কাছাকাছি সি-বিচের কথা উঠলে প্রথমেই দীঘা-পুরীর নামই মাথায় আসে। তবে আপনি যদি ভিড়ে ঠাসা এই সি-বিচগুলিতে না গিয়ে কোনও অফবিট সমুদ্রসৈকতে (Offbeat Sea Beach) যেতে চান তাহলে একেবারে পারফেক্ট হবে আজকের ডেস্টিনেশন।
আজ আমরা যে অফবিট সমুদ্রসৈকতের খোঁজ এনেছি তার নাম হল লালগঞ্জ সি-বিচ (Lalganj Sea Beach)। কলকাতা (Kolkata) থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সি-বিচে আপনি গাড়ি এবং ট্রেন- দু’ভাবেই যেতে পারেন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই সমুদ্রসৈকতে যেতে হলে আপনাকে দোয়ানিয়া-হাতানিয়া অতিক্রম করে যেতে হবে।
বকখালির ভীষণ কাছে অবস্থিত এই লালগঞ্জ সমুদ্রসৈকত। সাদা বালির সি-বিচের পাশে তাকালেই দেখতে পাবেন ঝাউয়ের জঙ্গল এবং ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এককথায় অসাধারণ। পাশাপাশি এই সমুদ্রসৈকত কিন্তু একেবারেই ভিড়ে ঠাসা নয়। মানুষের কোলাহল নয়, বরং এখানে ঘুরতে গেলে ঢেউয়ের গর্জনটাই বেশি শুনতে পাবেন। পাশাপাশি বালির মধ্যে থেকে লাল কাঁকড়ার উঁকিঝুঁকিও আপনার চোখে পড়বে।
আরও পড়ুনঃ দীঘা-পুরী অতীত! একদিনের ছুটিতে ঘোরার নতুন ঠিকানা, রইল কলকাতার কাছে ৬টি অফবিট জায়গার হদিশ
আরও পড়ুনঃ পাহাড়-জঙ্গলের অপূর্ব মেলবন্ধন! পুজোয় ঘুরে আসুন এই অফবিট লোকেশন থেকে, চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
কলকাতা থেকে ঢিলছরাআ দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকতে যেতেও বেশি সময় লাগে না। আপনি চাইলে গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। নাহলে ট্রেনের ব্যবস্থা তো রয়েছেই। ট্রেনে করে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে নামখানা চলে যেতে হবে। এরপর সেখান থকে অটো কিংবা টোটো ধরে পৌঁছে যেতে হবে লালগঞ্জ সমুদ্রসৈকতে।
সব তো জানা গেল, এবার প্রশ্ন হল কোথায় থাকবেন? তাহলে বলে রাখি, সমুদ্রের একেবারে খাছেই রয়েছে বিচ স্টে। সেখানে তাঁবুতে রাত কাটাতে পারবেন। দুই এবং চার শয্যার তাঁবু রয়েছে এখানে। প্রত্যেকটি তাঁবুতেই পাখা এবং কুলারের ব্যবস্থা আছে। ফলে গরমে কষ্ট পাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। পুজোর ছুটিতে এবার তাহলে যাবেন নাকি লালগঞ্জ?