পশ্চিমবঙ্গের ভেতরেই এমন অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যে বিষয়ে অনেকে জানেন না। বাংলার (West Bengal) ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে জানার জন্য সেই সকল স্থান ঘুরে (Tourist Places) দেখাটা তাই ভীষণরকম জরুরি। আজকের প্রতিবেদনে তাই আমরা হুগলী (Hooghly) জেলার ৫টি দর্শনীয় স্থানের খোঁজ তুলে ধরলাম। হাতে একদিনের ছুটি থাকলেই বেরিয়ে পড়তে পারেন সেই সকল স্থানের উদ্দেশে।
হংসেশ্বরী মন্দির (Hanseshwari Temple) : হুগলী জেলার বাঁশবেড়িয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান হল হংসেশ্বরী মন্দির। শোনা যায়, ১৭৯৯ সালে রাজা নৃসিংহদেব এই মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সেই কাজ সম্পূর্ণ হয় ১৮১৪ সালে। নৃসিংহদেবের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী রানী শঙ্করী মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু এই মন্দিরে ১৩টি চূড়া রয়েছে। অগুনতি মানুষ এই মন্দির দেখার জন্য এবং এখানে পুজো দেওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।
হুগলী ইমামবাড়া (Hooghly Imambara) : হুগলী জেলার অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হল ইমামবাড়া। প্রায় রোজই এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। দু’তলা এই বাড়িতে একাধিক জলাশয়, কৃত্রিম ঝরনা রয়েছে। সেই সঙ্গেই রয়েছে একটি ত্রিভুজের আকারের অঙ্গন। এছাড়া এই ইমামবাড়াতে রয়েছে একটি মস্ত ঘড়ি। শোনা যায়, প্রায় ১৮৪১ সাল থেকে এই ঘড়ির ঘণ্টা বেজে চলেছে। এই ঘণ্টার আওয়াজ এতটাই তীব্র যে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।
আরও পড়ুনঃ দোলের ছুটিতে ঘুরতে যেতে চান? রইল বসন্তের ছবির মত সুন্দর পুরুলিয়ার কম বাজেটের ট্রাভেল প্ল্যান
তারকেশ্বর মন্দির (Tarakeshwar Temple) : সারা বছর তারকেশ্বর মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। তবে শ্রাবণ মাসে এখানে তিলধারণের জায়গা থাকে না। রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে এখানে পুজো দিতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তারকেশ্বরের এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক শিবভক্ত বিষ্ণু দাস। তিনি হুগলীতে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। এরপর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বিষ্ণু। পরবর্তীকালে ১৭২৯ সালে মল্ল রাজারা এই মন্দিরটির নতুন করে সংস্কার করেন।
আরও পড়ুনঃ খরচ মাত্র ৫০ টাকা! জঙ্গলের মাঝে হবে ময়ূর দর্শন, রইল কলকাতার কাছেই এক সুন্দর আর্ট ভিলেজের হদিশ
চন্দননগর মিউজিয়াম (Chandannagar Museum) : হুগলী জেলার চন্দননগরে এলে এখনও ফরাসি ছোঁয়া অনুভব করতে পারবেন আপনি। এই জায়গা একসময় ফরাসিদের উপনিবেশ ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার আরও ৩ বছর পর চন্দননগর স্বাধীন হয়েছিল। এখানেই রয়েছে ডুপ্লে মিউজিয়াম। একদিনের ছুটিতে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন আপনি।
ব্যান্ডেল চার্চ (Bandel Church) : প্রত্যেক বছর বড়দিন এবং নববর্ষের সময় ব্যান্ডেল চার্চের নাম ভীষণভাবে শোনা যায়। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে ছুটে আসেন।
হুগলী জেলার অন্যতম দর্শনীয় এই স্থানের পোশাকি নাম হল ‘দ্য ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি রোসারি, ব্যান্ডেল’। তবে ভ্রমণপিপাসু মানুষ এবং জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যান্ডেল চার্চ নামেই জনপ্রিয় এই গির্জা।