Richest Temples of India Networth: ‘মন্দিরের দেশ’ হিসেবে খ্যাত ভারতে (India) এমন প্রচুর মন্দির (Temple) রয়েছে যেখানে পুজো দিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও মানুষ আসেন সেই মন্দিরগুলিতে পুজো দিতে। ঈশ্বরের দর্শন করবেন বলে বিভিন্ন মন্দিরে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভগবানের প্রতি। শুনলে অবাক হবেন, আমাদের দেশেই রয়েছে বিশ্বের অন্যতম ৫ ধনী মন্দিরও। ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দির (Richest Temple In India) কোনটি? সেই মন্দিরের বার্ষিক আয় কত? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল তথ্য।
বৈষ্ণো দেবী মন্দির (Vaishno Devi Temple) : জম্মুর বৈষ্ণো দেবী মন্দির দর্শন করতে প্রত্যেক বছর ১০ মিনিয়নেরও বেশি তীর্থযাত্রী যান। এক মিলিয়ন বছর পুরনো এক গুহার ভিতরে ৫২০০ ফুট উচ্চতায় এই মন্দির অবস্থিত। তিরুপতির পর এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি দর্শনীয় মন্দির। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রত্যেক বছর এই মন্দির ৫০০ কোটি টাকা অনুদান পায়। এছাড়াও বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের সংগ্রহে ১.২ টন সোনা রয়েছে বলেও জানা যায়।
সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির (Siddhi Vinayak Temple) : ভারতের অন্যতম বিখ্যাত এবং জাগ্রত মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। গণেশ ঠাকুরকে উৎসর্গ করে তৈরি হওয়া এই মন্দিরে সারা দিন ধরে নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের বার্ষিক আয় ১২৫ কোটি টাকা। এছাড়া এই মন্দিরের দেওয়াল ৩.৭ কেজি সোনার পাত দিয়ে মোড়া।
আরও পড়ুনঃ উত্তমকুমারের পর সেরা অভিনেতা, নতুন ‘ব্যোমকেশ’ দেব-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘অজিত’ অম্বরীশ
শিরডি সাঁই বাবা মন্দির (Shirdi Sai Baba Temple) : সাঁই বাবাকে উৎসর্গ করে তৈরি হওয়া মন্দির ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে ধনী মন্দিরও বটে। প্রথম জীবনে ফকির হিসেবে দিন কাটিয়েছিলেন সাঁই বাবা। এই মুহূর্তে শিরডি সাঁই বাবা মন্দিরের বার্ষিক আয় প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি এই মন্দির চত্বরে থাকা দান বাক্স থেকে ২০০ কোটি টাকা বের করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, শিরডি সাঁই বাবার মন্দিরের ব্যাঙ্কে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখা! বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারতকে গর্বিত করলো এই ছাত্র, রইল পরিচয়
তিরুমালা তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দির (Tirumala Tirupati Venkateswara Temple) : এক সময় এই মন্দিরে ভগবান বালাজি বসবাস করতেন। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা হলেন ভগবান বিষ্ণু। ভগবান শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর এবং তাঁর সহধর্মিণী পদ্মাবতী এই মন্দিরে বাস করেন বলে বিশ্বাস। প্রতি বছর ভক্তরা তিরুমালা তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে ৬৫০ কোটি টাকা দান করেন। এছাড়া এই মন্দিরে ১৪ হাজার কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং ৯ টন সোনাও রয়েছে।
শ্রী পদ্মনাভ স্বামী মন্দির (Sree Padmanabhaswamy Temple)- কেরালার তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত এই মন্দিরের দর্শন করতে সারা বিশ্ব থেকে মানুষ ছুটে আসেন। এক সময় এই মন্দিরের ভূগর্ভ থেকে গুপ্তধন পাওয়া গিয়েছিল। প্রায় ১০০০ কোটির মূল্যবান হীরে উদ্ধার হয়েছিল।
তখন থেকেই ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দির হিসেবে জনপ্রিয় শ্রী পদ্মনাভ স্বামী মন্দির। এই মন্দিরের গুপ্তধনে সোনার তৈরি মূর্তি, সোনার অলঙ্কার, হীরে রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মন্দিরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের জিনিস রয়েছে। এই মন্দিরে যে মূর্তি রয়েছে সেটির মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বলে জানা যায়।