• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখা! বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারতকে গর্বিত করলো এই ছাত্র, রইল পরিচয়

World Best Handwriting Boy: মেয়েদের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার (Handwriting) সম্মান অর্জন করেছেন নেপালের প্রকৃতি মাল্লা। সে এই খেতাব জিতে গর্বিত করেছে নিজের দেশকে। তবে পিছিয়ে নেই ভারতও। কারণ ছেলেদের (Boy) মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার খেতাব জিতে নিয়েছে এক ভারতীয় (India) ছাত্র। অর্থাৎ মেয়েদের লড়াইয়ে নেপাল বাজিমাত করলেও, ছেলেদের মধ্যে জয়ী হয়েছে ভারত। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার কৃতিত্ব অর্জন করেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক ছাত্র।

‘ওয়ার্ল্ড হ্যান্ড রাইটিং কনটেস্টে’ (World Handwriting Contest) বিজয়ী হয়ে শুধু বেঙ্গালুরুকেই নয়, বরং গোটা ভারতক গর্বিত করেছে রেমন স্মিথ রিচার্ড (Raymon Smith Richard)। বেঙ্গালুরুর বাবুস্যাপলার সেন্ট ভিনসেন্ট পালোটি স্কুলের (St Vincent Pallotti School) ছাত্র সে। ২০২০ সালের এই কম্পিটিশনে ফাংশনাল হ্যান্ড রাইটিং গ্রুপের প্রি-টিনস ক্যাটেগরি অর্থাৎ ৮-১২ বছরের দলে সেরা হয়েছে রেমন। নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠন হ্যান্ডরাইটিং ফর হিউম্যানিটি (Handwriting For Humanity) কর্তৃক হাতের লেখার এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছিল।

   

Raymon Smith Richard, World Best Handwriting Boy

হ্যান্ডরাইটিংয়ের এই কনটেস্টের বিজেতাদের একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সারা বিশ্ব থেকে প্রায় লক্ষাধিক প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে সবাইকে টেক্কা দিয়ে সেরার আসন লাভ করেছে রেমন। সেই সময় সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। এখন রেমন ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ে।

রেমনের বাবা রিচার্ড ভিনসেন্ট এবং মা রোজালিন রিচার্ড জানিয়েছে, তাঁদের সন্তান চতুর্থ প্রচেষ্টায় বিশ্বের সেরা হাতের লেখার খেতাব অর্জন করতে পেরেছে। রেম্নের মা রোজালিন নিজে পেশায় একজন ক্যালিগ্রাফি শিক্ষিকা এবং গ্রাফোলজিস্ট। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণি থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে রেমন। সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য প্রতিযোগীরা এই কম্পিটিশনে যোগ দিয়েছিল। সবাইকে টেক্কা দিয়ে জয়লাভ করা খুব কঠিন ছিল’।

Raymon Smith Richard, World Best Handwriting Boy

রোজালিন আরও জানান, আসলে ২০২০ সালের প্রতিযোগিতার আগে কোভিডের সময় রেমন হাতের লেখা প্র্যাকটিস করার জন্য অতিরিক্ত সময় পেয়েছিল। লকডাউনের সময় হাতের লেখার পিছনে ১ ঘণ্টা বেশি সময় ব্যয় করতো সে। এইটুকু অনুশীলন করেই বিশ্বের সেরা হাতের লেখার খেতাব জিতে নিয়েছে ছোট্ট রেমন।

সেরা হাতের লেখার খেতাব জয়ের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফ থেকে শংসাপত্রের ডিজিটাল কপি পেয়েছে রেমন। শুধু তাই নয়, হার্ড কপি ও স্মারকও পেয়েছে সে। তবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেও রেমন থেমে থাকতে চায় না। আগামী দু’বছরও এই কম্পিটিশন জিততে চায় সে। কারণ নিয়মানুসারে, কোনও প্রতিযোগী যদি একটানা তিন বছর জয়ী হয় তাহলে তাঁকে ‘লাইফটাইম বিজেতা’র খেতাব দেওয়া হয়। সেই জন্য এই খেতাব ধরে রাখার জন্য রোজ কমপক্ষে ১ ঘণ্টা করে প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছে রেমন।