রবিবার সকাল হতেই টলিউডের তরফ থেকে আসে খারাপ খবর। কলকাতার গড়ফার নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে জনপ্রিয় টেলি নায়িকা পল্লবী দে (Pallavi Dey) এর। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশ। দেহ উদ্ধার করা নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই জানা যায় যে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। কিন্তু হটাৎ কেন আত্মহত্যা করতে যাবেন অভিনেত্রী? নাকি অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে?
যেমনটা জানা যাচ্ছে এক মাসও হয়নি গড়ফার কেপি রায় লেনের ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন অভিনেত্রী। অবশ্য একা নয় দিন ২০ আগে প্রেমিক তথা লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর (Sagnik Chakraborty) সাথেই ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে ও বন্ধুদের কাছে লিভ ইন জানালেও বিবাহিত পরিচয়েই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ফ্ল্যাট।
আবাসনের লোকেদের থেকে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই ফ্ল্যাটে এসেছিলো তাই সেভাবে কেউই চিনত না। প্রয়োজন হলে কেয়ারটেকারকে ডাকত। তিনি স্বামী-স্ত্রী জানতেন দুজনকে। আজ সকালে চিৎকার করে ডাকে সাগ্নিক তারপর গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় ঝুলন্ত অবস্থায়। তাই এটাও সন্দেহ জাগছে যে তাঁরা কি শুধুই লিভ ইন করছিলেন নাকি গোপনে বিয়েটাও সেরে ফেলেছিলেন?
প্রশ্নটা আরও যুক্তিগত করে তুলেছে অভিনেত্রীর ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা একটি ছবি। গতবছর ২৬শে ফেব্রুয়ারি একটি ছবিতে পল্লবী ও সাগ্নিককে দেখা যাচ্ছে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে আংটি পরিয়ে বাগদান সেরেছেন তাঁরা। সাথে ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘অবশেষে’। এই পোস্ট আরও বেশি করে প্রশ্ন জাগিয়ে তুলছে।
ইতিমধ্যেই পল্লীবী ও সাগ্নিকের বাড়ির লোকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। সাগ্নিকের বাড়ি থেকে জানা যাচ্ছে বাবা দুজনকে বিয়ের কথা বলেছিল, লিভ ইন ব্যাপারটা তিনি ঠিক মেনে নিতে পারছিলেন না। অন্যদিকে সাগ্নিকের মায়ের মতে দুজনেই বেশ মাথা গরম করে ফেলত।
আবার এদিকে অভিনেত্রীর বাবার মতে, তাঁর মেয়েকে খুন করা হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়নি কারোর দিকেই। বর্তমানে গড়ফা থানার পুলিশ নিজেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই অভিনেত্রীর এই মর্মান্তিক পরিণতির কারণ সামনে আসবে।