যে কোনও সদ্যজাত শিশু (New Born Baby) জন্মের অন্তত ৬ মাস পর হামাগুড়ি (Crawl) দিতে শুরু করে। আর কথা (Talk) বলতে কম করে দেড় থেকে দু’বছর সময় লেগে যায়। কিছু কিছু শিশু অবশ্য কয়েক মাস আগেই কথা বলতে শুরু করে দেয়। কিন্তু তাই বলে মাত্র ৩ দিনের শিশু হামাগুড়ি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবে! সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এমনই এক সদ্যোজাতের ভিডিও ভাইরাল (Viral) হয়েছে যা দেখে তাক লেগে গিয়েছে নেটিজেনদের।
আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া নিবাসী সামান্থা মিশেল (Samantha Mitchel) কয়েক মাস আগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ৩৪ বছর বয়সী এই মহিলা সুস্থভাবেই সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করেছিলেন। একরত্তি আসার পর আনন্দে মেতে উঠেছিল গোটা পরিবার। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই আনন্দ বদলে যায় বিস্ময়ে। পুঁচকের কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে যায় সম্পূর্ণ পরিবার।
জন্মের পর হাসপাতালে শিশুদের সাধারণত কাঁচের বেবিকটে শুইয়ে রাখা হয়। সামান্থার মেয়েকেও সেখানেই শুইয়ে রাখা হয়েছিল। এরপরই ঘটে সেই বিস্ময়কর ঘটনা। দেখা যায়, তিন দিনের সেই শিশু নিজের ছোট্ট ছোট্ট হাতে ভর দিয়ে নিজের গোটা শরীর উল্টে ফেলেছে। সেই সঙ্গেই হামাগুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে সে। শিশুর যত্নের জন্য রাখা নার্স প্রথম সেই দৃশ্য দেখেন।
তিন দিনের শিশুরা সাধারণত নিজের হাত-পা নাড়ানো এবং কান্না ছাড়া আর কোনও কিছুই করতে পারে না। নিজে থেকে কাত হয়ে শুতেও কম করে তিন মাস সময় লেগে যায়। সেখানে এই শিশু তিন দিনের মাথাতেই হামাগুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি মুখ থেকে এমন একটি আওয়াজ বের করছে যা সাধারণত এক বছর তা তার থেকে একটু বেশি বয়সের বাচ্চারা বের করে।
View this post on Instagram
সহজে বললে, জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকেই হামাগুড়ি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছিল সেই খুদে। সামান্থা নিজে মেয়ের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই পোস্ট। এই ‘বিস্ময় শিশু’ যে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।