ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। ‘কোকিল কণ্ঠী’ নামে খ্যাত এই গায়িকার নাম উঠলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায় সঙ্গীতশিল্পীদের। আর হবে নাই বা কেন! তিনি তো শুধুমাত্র একজন গায়িকা ছিলেন না। তিনি ছিলেন ভারতের গর্ব। ৩৬টি ভাষায় ৩০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করে এক অনন্য নজির গড়েছিলেন লতা।
মারাঠি এই গায়িকার গলায় যেন সাক্ষাৎ মা সরস্বতী বাস করতেন। সঙ্গীতপ্রেমী বহু মানুষের কাছে আবার তিনিই হলেন দেবীর মতো। এমনই একজন ব্যক্তি হলেন রাজীব দেশমুখ (Rajiv Deshmukh)। সুরসম্রাজ্ঞীর প্রত্যেক কনসার্ট দেখতে উপস্থিত হয়ে যেতেন তিনি। শুধু তাই নয়, গায়িকার নামে নিজের বাড়িতে একটি মন্দিরও (Temple) তৈরি করেছেন রাজীব। লতাকে রোজ দেবীর মতো পুজো করা হয় সেখানে।
কবে তৈরি হয়েছে এই মন্দির?
গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি সঙ্গীত জগতকে মাতৃহারা করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। গায়িকার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর নামের এই মন্দির তৈরি করেন রাজীব। সেই মন্দিরের ভেতরে গায়িকার একটি মূর্তি রয়েছে। প্রত্যেকদিন তাঁর সেই মূর্তির পুজো করা হয়। সেই সঙ্গেই নিজের রেকর্ড করা একটি গানও চালান রাজীব।
আরও পড়ুনঃ এক ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও কেন তিক্ততায় ভরা সম্পর্ক? ৩০ বছর পর বোমা ফাটালেন নানা পাটেকর
লতার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন এই ভক্ত
একবার এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রাজীব নিজেই বলেছিলেন, ক্লাস সেভেনে পড়কালীন বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বাই আসার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র লতাকে একবার দেখার জন্য একাজ করেছিলেন। যদিও সেবার তাঁকে রাস্তায় একা দেখে পুলিশ বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। এরপর ১৯৮২ সালে গায়িকার একটি কনসার্ট দেখার জন্য বিদেশ চলে যান তাঁর এই অনুরাগী। যদিও সেবারও প্রিয় তারকার দেখা পাননি রাজীব।
আরও পড়ুনঃ একটা-দুটো নয়, মহালয়ায় দেখা দেবেন তিন মহাদেব, কোন চ্যানেলে কে? রইল পর্দার শিবেদের আসল পরিচয়
দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষার পর ঘুরেছিল রাজীবের ভাগ্যের চাকা । ১৯৮৭ সালে প্রথমবার কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রাজীবের কথায়, সেটাই ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত। রাজীব-পত্নী শুভাঙ্গী বলেন, তাঁদের কাছে দেবীর চেয়ে কোনও অংশে কম ছিলেন না লতা। এখনও তাঁদের বাড়ির হলঘরে গায়িকার একটি ছবি টাঙানো রয়েছে।