দীপাবলির পর কার্তিকী মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সূর্যদেবতার পুজো করা হয়, যা ছট পুজো নামেই বেশি পরিচিত। এই সময় প্রসাদ হিসাবে তৈরী করা হয় ঠেকুয়া। প্রসাদ হিসাবে তৈরী করা হলেও অনেকেই এটা সারাবছরই খেতে ভালোবাসেন। হালকা খিদে মেটানোর জন্য ঠেকুয়া কিন্তু বেশ ভালো একটা উপায় হতেই পারে। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল বাড়িতেই একেবারে সহজ পদ্ধতিতে কোনো রকম ছাঁচ ছাড়া টেস্টি ঠেকুয়া তৈরির রেসিপি (Thekua Recipe)। যেটা একবার বানিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে খেতে পারেন।
ঠেকুয়া তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
১. আটা ও ময়দা
২. সুজি
৩. নারকেল কোরা
৪. পরিমাণ মত নুন
৫. চিনি
৬. রান্নার জন্য তেল ও ঘি
আরও পড়ুনঃ চোখে দেখলেই মুখে পুড়বে টপাটপ! রইল ১০ মিনিটে লোভনীয় পটেটো ডাম্পলিং তৈরির রেসিপি
ঠেকুয়া তৈরির পদ্ধতিঃ
➥ প্রথমে একটা বড় পাত্রে এককাপ মত আটা, আধ কাপের কম ময়দা আর একই পরিমাণ সুজি নিয়ে নিন। এরপর আধ কাপ মত নারকেল কোরা, পরিমাণ মত নুন, সামান্য চিনি ও কয়েকচমচ ঘি দিয়ে ভালো করে ময়ান দিয়ে নিতে হবে। যাতে হাতে করে মুঠো করলেই আঁট আঁট হয়ে যায়।
➥ ময়ান দেওয়া হয়ে গেলে অল্প অল্প করে জল দিয়ে সবটা আটা মাখার মত মাখিয়ে নিতে হবে। আটা মাখা নরম নয় বরং একটি টাইট মতই বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটার থেকে ছোট ছোট করে লেচি কেটে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ঝটপট তৈরী মুখে দিলেই যাবে গলে, রইল বাড়িতেই টেস্টি আটা কুকিজ তৈরির রেসিপি
➥ এবার হাতে অল্প তেল মেখে নিয়ে লেচি গুলোকে গোল পাকিয়ে হাতে চেপে চ্যাপ্টা করে নিন। তারপর চামচের সাহায্যে নিজেদের পছন্দমত ডিজাইন করে নিন। এভাবে সমস্ত লেচি থেকে ঠেকুয়ার আকার দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে।
➥ এদিকে কড়ায় বেশ কিছুটা তেল গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে গেলে মিডিয়াম আঁচে ঠেকুয়াগুলোকে দিয়ে উল্টে পাল্টে ১০ মিনিট মত ভেজে নিতে হবে। লাল লাল করে ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে তুলে নিন। ব্যাস ঠেকুয়া তৈরী, এবার চাইলে এয়ার টাইট পাত্রে রেখে গোটা মাস ধরে খেতে পারেন।