ধর্ম যাই হোক, বিয়ের পর রীতি মেনে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে পা বাড়াতেই হয় মেয়েদের। ছোট থেকে বড়ো হয়ে ওঠা মানুষগুলো এক নিমেষে হয়ে যায় পর, কাজেই বিয়ের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ছোট থেকে বড়ো সকলের চোখেই জল চলে আসে। বাদ যায় না কনে, হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনিও। এ দৃশ্য নতুন কিছু নয়, প্রায় প্রতিটি বিয়েতেই এমনটা হয়। তবে, গতকাল ঘটে যাওয়া ওড়িশার এক ঘটনা নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক।
জানা গেছে, ওড়িশার সোনপুর নামক এলাকায় গুপ্তেশ্বরী সাহুর বিয়ে ছিল। গরীব পরিবার প্রায় সর্বহারা হয়েই নিজের মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। সেই পরিকল্পনামাফিক বিয়েও হয়। এরপর সমস্ত আচার অনুষ্ঠান মেনে শুরু হয় কনে বিদায়ী পর্ব।
এরপরেই ছন্দপতন, বিদায় অনুষ্ঠানের সমস্ত আচার অনুষ্ঠান শেষ হতেই চোখ জলে আসে সকলের। বাদ যাননি স্বয়ং কনে, উচ্চস্বরে কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি জলের ঝাপটা ও হাত পা ঘষলেও আসেনা জ্ঞান।
এরপরে চিন্তিত অভিভাবক এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেরি না করেই কনেকে নিয়ে যান নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন নববধূ। এরপর ময়নাতদন্তের পর গুপ্তেশ্বরীর মৃত দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।