বিপদ যত বড়ই হোক না কেন কখনও হার মানেনি ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপা। নিজের কাছের মানুষদের জন্য বরাবর সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে সে। পরিবারের লোকেরা ভুল বুঝলেও দীপা (Deepa) কখনও তাদের হাত ছাড়েনি। এখন যেমন সেনগুপ্ত বাড়ি পুনরুদ্ধারের জন্য লাবণ্যদের হয়ে লড়াই করছে সে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) নিয়মিত দর্শকরা জানেন, ছলচাতুরি করে সেনগুপ্ত বাড়ি হাতিয়ে নিয়েছে মিশকার পাপাই পারিজাত সেন (Parijat Sen)। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে, সেনগুপ্ত বাড়ি বিক্রির জন্য নিলামের আয়োজন করেছে সে। তবে শেষ মুহূর্তে পুরো খেলা পাল্টে দিল দীপা। সময় মতো প্রমাণ জোগাড় করে সেনগুপ্ত বাড়ি প্রবীর-লাবণ্যদের ফিরিয়ে দিল সে।
আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, পারিজাত সেনগুপ্ত বাড়ি নিলাম করছে একথা জানতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় মিশকা (Mishka)। সে স্বপ্ন দেখে, সূর্যর (Surjya) স্ত্রী হিসেবে সেনগুপ্ত বাড়িতে রাজত্ব করছে সে। এদিকে দীপা, লাবণ্য (Labanya), সোনা, রূপার ভিখারির দশা হয়েছে। দু’মুঠো খাবারের জন্য সূর্য-মিশকার কাছে হাত পাতছে তারা।
আরও পড়ুনঃ দীপা, রানী, গীতার জোর টক্কর! স্টার জলসার পরিবার অ্যাওয়ার্ডে সেরা নায়িকা হল কে? নামটা চমকে দেবে
কিন্তু মিশকার এই স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগেই তা ভেঙে চুরমার করে দেয় দীপা। সেনগুপ্ত বাড়ি নিলাম হওয়ার আগেই সে সার্টিফায়েড কপি সবাইকে দেখাতে চায়। কিন্তু পারিজাতের লোকেরা সেই কাগজ দেখতে চায় না। উল্টে দীপাদের দিকে গুন্ডা লেলিয়ে দেয়। এদের মধ্যে একজন দীপাকে সজোরে ধাক্কা মারে। তা দেখে ভীষণ রেগে যায় অর্জুন (Arjun)। এরপর সেখানে মারপিট শুরু হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় সেনগুপ্ত বাড়িতে এসে হাজির হল পুলিশ আর উকিল। কী হয়েছে তারা জানতে চাইলে পারিজাত বলে, শান্তিপূর্ণভাবে নিলাম সম্পন্ন হতে দিচ্ছে না দীপা এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর দীপা উকিলকে প্রমাণ দেখাতে গেলে সে বলে, এই কাগজ তার আগে দেখানো উচিত ছিল। সেই মুহূর্তে এগিয়ে আসে দীপার দুই মেয়ে।
আরও পড়ুনঃ পরাগের মুখে ঝামা, আদালতে শিমুলকে নির্দোষ প্রমাণ করে দিল আরাধনা! ফাঁস তোলপাড় করা পর্ব
রূপা (Rupa) জানায়, তার শরীর খারাপ ছিল বলে তারা আগে এই প্রমাণ দেখাতে পারেনি। পাশাপাশি এও বলে, স্কুল কামাই করলে যদি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাহলে ফের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। তাহলে এখানে কেন সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না? ছোট্ট রূপার এই কথায় সহমত পোষণ করে পুলিশ। দীপার আনা কাগজপত্র দেখে সে বলে, সেনগুপ্ত বাড়ি নিলাম করা যাবে না। পাশাপাশি এও বলে, দীপা সপরিবারে সেনগুপ্ত বাড়িতে থাকতে পারবে। তা সত্ত্বেও দীপা ঠিক করে, সোনা-রূপাকে নিয়ে সে ফের নিজের বাড়ি ফিরে যাবে। কিন্তু যতদিন এই ঝামেলা মিটছে না সে লাবণ্যদের পাশে থাকবে।