স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) দেখতে এখন ভীষণ ভালোলাগছে দর্শকদের। গত প্রায় এক বছর ধরে সূর্য-দীপার ভুল বোঝাবুঝির ট্র্যাক দেখানো হচ্ছিল সিরিয়ালে (Bengali Serial)। অবশেষে সেই একঘেয়ে কাহিনীতে ইতি পড়েছে। ডিএনএ টেস্ট করে সূর্য জেনে গিয়েছে, সোনা-রূপা আসলে তারই সন্তান। সেই সঙ্গেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে দীপার চরিত্রে কোনও দাগ নেই।
নিজের ভুল বুঝতে পারা মাত্রই দীপার (Deepa) কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ছুটে যায় সূর্য (Surjya)। যদিও দীপা এত সহজে স্বামীকে ক্ষমা করতে নারাজ। সে সূর্যকে মুখের ওপর বলে দেয়, তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তার পক্ষে আর সম্ভব নয়। এত আঘাত সহ্য করার পর দীপা ঠিক করেছিল, এবার সে একাই থাকবে। আর কোনোদিন সেনগুপ্ত বাড়িতে ফিরবে না।
আরও পড়ুনঃ শ্বশুরবাড়িতে শতদ্রুর সাথে নোংরামির অভিযোগ! ফাঁস শিমুল-পলাশের তুলকালাম পর্ব
যদিও লাবণ্য (Labanya), প্রবীর, জয়ের অনুরোধে এবং সোনা (Sona)-রূপার (Rupa) মুখের দিকে তাকিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত বদল করে দীপা। সূর্য এবং দুই মেয়ের হাত ধরে ফের সেনগুপ্ত বাড়িতে পা রাখে সে। তবে শ্বশুরবাড়ি ফিরে এলেও এখনও সূর্যকে মন থেকে ক্ষমা করতে পারেনি দীপা। স্ত্রীয়ের অভিমান ভাঙানোর জন্য সূর্যও বারবার তার কাছে ক্ষমা চাইছে।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের পর বন্ধ পড়াশোনা, দিতে হবে ঘোমটা! রানীর হবু শাশুড়ির শর্ত শুনেই ক্ষোভে ফুঁসছে দর্শকরা
এসব দেখার পর লাবণ্য দীপাকে সাফ বলে দেয়, সে যেন এবার সূর্যর পরীক্ষা নেয়। এতদিন দীপা পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। তবে এবার সূর্যকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। সূর্য আদৌ ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য কিনা সেটা যাচাই করেই যেন দীপা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়। শাশুড়ি মায়ের মুখে এমন কথা শুনে অবাক হয়ে যায় দীপা।
পাশাপাশি ছেলের পাশে না দাঁড়িয়ে লাবণ্য যেভাবে বৌমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সেটা দেখেও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে দর্শকরা। সকলেই বলছেন, লাবণ্য সেনগুপ্তর মতো শাশুড়ি অনেক ভাগ্য করে পাওয়া যায়। প্রত্যেক পদে পদে তিনি যেভাবে বৌমার পাশে থাকেন, বৌমাকে আগলে রাখেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়।