ছোট থেকেই প্রচুর কষ্ট সহ্য করেছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপা। বিয়ের আগে সৎ মা-বোন আর বিয়ের পর স্বামী-শ্বশুরবাড়ির জ্বালা সহ্য করছে সে। হাজার চেষ্টা করেও সূর্যর বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি দীপা (Deepa)। এখন আবার ননদ তিস্তার ভালো করতে গিয়ে শাশুড়িদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে সে। এসবের মাঝেই রূপার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে, সমস্যা যেন ঘিরে ধরেছে তাকে।
স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকের (Bengali Serial) বর্তমান প্লট অনুযায়ী, অনেকদিন ধরেই একটা রোগে আক্রান্ত রূপা। সেই রোগের চিকিৎসা করাতে গেলে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। মেয়ের এই অবস্থায় বাড়ি ছেড়ে দূরে চলে গিয়েছে সূর্য (Surjya)। কারণ সে নিজে একটু ভালো থাকতে চায়। তবে রূপার (Rupa) সঙ্গে কোনও রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও তার চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করছে অর্জুন (Arjun)।
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখতে পাবেন, তিস্তাকে (Tista) নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়ি এসেছে ভিক্টর (Victor)। তার প্রচুর টাকার দরকার, তাই সে একটুও সময় নষ্ট করতে চায় না। মেয়েকে দেখা মাত্রই গলে যায় কাকিয়ার মন। জামাই হিসেবে ভিক্টরকে মেনে নেয় সে। তবে তিস্তার বাবা এবং জ্যাঠামশাই এখনও ভিক্টরকে জামাই হিসেবে গ্রহণ করেনি। তা সত্ত্বেও লাবণ্য (Labanya) তাদের সেনগুপ্ত বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়ে দেয়। সবকিছুই ভিক্টরের পরিকল্পনা মাফিক চলতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ শাহরুখ-সলমনকে টেক্কা! বুর্জ খলিফায় ভেসে উঠল যীশুর মুখ, ভিডিও দেখে গর্বিত আপামর বাঙালি
অন্যদিকে দেখা যায়, ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আচমকাই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে রূপা। ডক্টর স্মিথ তাকে দেখার পর জানান, অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। এক্ষুনি সার্জারি করতে হবে আর একটা টিস্যুর পরীক্ষা করতে হবে। এটা না করলে প্রচণ্ড খারাপ কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। আর এসবের জন্য মোট ২২ লাখ টাকা লাগবে। একথা শোনামাত্রই দীপার মাথায় একপ্রকার আকাশ ভেঙে পড়ে! এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবে? এই ভাবনা নিয়ে সে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ নতুনকে জায়গা দিতে শেষ হচ্ছে জলসার জনপ্রিয় মেগা, ‘বধুঁয়া’ টাইম স্লট দেখেই মাথায় হাত দর্শকদের
দীপা প্রথমে টাকার জন্য কবীর-শিবানীর কাছে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে, তারা বিদেশ চলে গিয়েছে। আর কোনও রাস্তা না পেয়ে সেনগুপ্ত বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। তাকে দেখেই লাবণ্য আর কাকিয়া সেখান থেকে চলে যেতে বলে। কাকিয়া বলে, তাদের বাড়িতে মেয়ে-জামাই এসেছে। তাই দীপার এখন সেখানে থাকাটা ঠিক নয়। দীপা তখন লাবণ্যর পায়ের সামনে আঁচল পেতে রূপার প্রাণ ভিক্ষা চাইতে থাকে। ঠিক তখনই পুলিশ আর উকিল সঙ্গে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়ির দরজার সামনে এসে দাঁড়ায় পাপাই। কী হবে এরপর? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বগুলিতে।