ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন ঊষা উত্থুপ (Usha Uthup)। নিজের গায়কীর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সেই গায়িকাই নিজের ৭৬তম জন্মদিন উদযাপন করলেন। এই বিশেষ দিনে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা আলাপচারিতায় (Usha Uthup Interview) বসেছিলেন তিনি।
সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ঊষা বলেন, এখন যে কোনও বিষয়ে খুব সহজেই এক্সপোজার পাওয়া যায়। তাঁদের সময়ে জিনিসটা এমন ছিল না। সেই সময় একটু এক্সপোজার পাওয়ার জন্য অনেকখানি সংগ্রাম করতে হতো। গায়িকার কথায়, তাঁর শৈশব ভীষণ রকম সাধারণ ছিল। সেই জন্য কোনও প্রকার আশা-আকাঙ্ক্ষাই তিনি সেভাবে দেখতে পাননি এবং বুঝতে পারেননি।
একই সাক্ষাৎকারে ঊষা জানান, ছোটবেলায় বেশ অর্থকষ্টেই দিন কেটেছে তাঁর। পনীর কাকে বলে ছেলেবেলায় তা অজানাই ছিল গ্যায়িকার কাছে। সঙ্গীত জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পনীরের সঙ্গে ভালো রকম পরিচিতি হয় তাঁর। এমনকি পনীর কাটলেটের স্বাদও জীবনে প্রথমবার তখনই পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের হাত ধরতেই পর হয়েছে মা! পর্দায় গর্ভবতী হয়ে মায়ের কষ্ট বুঝে আক্ষেপ ‘মিশকা’ অহনার
ঊষার কথায়, ‘পনীর কী আমরা সেটা জানতাম না। আমাদের বাড়িতে খুব কম আসতো। ক্রাফট চিজও আমাদের কাছে বিলাসিতা ছিল। মাঝেমধ্যে আমার মা সেটা স্যান্ডউইচে মাখিয়ে দিতে। আমি যখন গান গাওয়া শুরু করি, সেই সময় আমার পনীরের সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন বিভিন্ন হোটেল, নাইট ক্লাবে যেতাম আমি’।
কথার সূত্রেই গায়িকা বলেন, ‘আমি আমার জীবনে প্রথম পনীর কাটলেট কলকাতায় খেয়েছিলাম। এখন এটা ভাবলেও খুব অবাক লাগে যে গানের মাধ্যমেই আমি রন্ধনসম্পর্কীয় এই আনন্দের সঙ্গে পরিচয় লাভ করেছিলাম। তার আগে পর্যন্ত পনীর কী সেটা আমি জানতাম না’।
প্রসঙ্গত, ঊষা উত্থুপ এমন একজন গায়িকা যিনি নিজের কেরিয়ারে একাধিক আইকনিক গান গেয়েছেন। ‘হরি ওম হরি’ থেকে শুরু করে ‘শান সে’ হয়ে ‘কোই ইয়াহা ইয়াহা নাচে নাচে’র মতো একাধিক গান গেয়েছেন তিনি। সেই গায়িকাই ছেলেবেলায় কতখানি স্ট্রাগল করেছেন তা শুনলে অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।