মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই নিজেকে সুন্দর দেখতে চায়। আর সৌন্দর্যের সাথে চুলের সম্পর্ক যে আছেই তা অস্বীকার করতে পারে না কেউই! কিন্তু আজকাল চুল পড়ার সমস্যায় জেরবার সকলে, এমনকি বলি সেলিব্রিটিরাও এর থেকে মুক্তি পাইনি। শাহরুখ খান থেকে শুরু করে সালমান খান একাধিক বলি তারকারা হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে নিজেদের টাক মাথা লুকিয়েছেন। আজ এমনই কিছু সেলেবদের তালিকা রইল আপনাদের জন্য।
সালমান খান (Salman Khan) : বলিউডে ভাইজান সালমান খান, তার দাবাং স্টাইলের ফ্যানের সংখ্যা কোটিতে। তবে জানলে ২০০০ সাল নাগাদ মাথায় তাকে পড়তে শুরু করেছিল সালমানের। এরপর FUE হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি।
অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bacchan) : ইন্ডাস্ট্রির ‘বিগ বি’ অমিতাভ বচ্চনও একসময় চুল পড়ার সমস্যা জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন। এরপর সালমান খানের মত FUE হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির মাধ্যমে আবার নিজের চুল ফেরত পেয়ে যান তিনি। আজকের দিনে দেখে কেউ বলতেই পারবে না যে অমিতাভ বচ্চন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ৩৫ বছর স্বামীর থেকে আলাদা, শানু-উদিতের সঙ্গে প্রেম! অলকা ইয়াগনিকের জীবন কাহিনীই যেন সিনেমা
অক্ষয় খান্না (Akshay Khanna) : ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় বলি তারকা অক্ষয় খান্না। মাত্র ৩০ বহকার বয়সেই তার মাথার চুল উঠে টাক পড়তে শুরু করে। শুরুতে কোনোমতে তাকে ঢাকার চেষ্টা করলেও পরে উইগ পড়তে বাধ্য হন। শেষে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট কোরান তিনিও।
অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) : বলিউডের খিলাড়ি তথা মোস্ট অ্যাক্টিভ সুপারস্টার অক্ষয় কুমার। বর্তমানে ৫৬ বছর বয়সেও তাঁর এনার্জির কাছে হার মানবে যুবকেরাও। কিন্তু ৪০ বছরের পর তাঁরও চুল ঝরতে শুরু করেছিল। তাই অক্ষয় কুমারও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুনঃ অমিতাভ-ধর্মেন্দ্রর থেকে বেশি ফিস, শেষে চলে যান কৈলাশে! বলিউডের এই বিখ্যাত ভিলেন কে জানেন?
সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt) : নায়ক হোক বা খলনায়ক সব চরিত্রেই নিজের দুর্দান্ত অভিনয়ের প্রতিভা দেখিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। অভিনেতার বাস্তব জীবনটাও বলিউডের সিনেমার থেকে কিছু কম নয়! ক্যান্সারে পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা। তবে এর আগে একবার চুল উঠে যাওয়ার সমস্যার কারণে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হয়েছিল তাকে।
প্রসঙ্গত, বলি তারকাদের আরও অনেকেই চুলের সমস্যার কারণে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন। কারণ চুল না থাকলে সিনেমায় চান্স পাওয়া মুশকিল হয়ে পরে। তাছাড়া বর্তমানে চিকিৎসা সেক্টরে উন্নতির ফলে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট যেমন সহজ হয়েছে তেমনি খরচও আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।