রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) নামটা সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। গায়ক হিসাবে তার যেমন খ্যাতি রয়েছে তেমনি গতবছর বিতর্কের জেরে নেটিজেনদের চরম কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। কেকে কলকাতায় এসে অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে ভিডিওতে বলেছিলেন, ‘হু ২ কেকে? আমি, অনুপম, সোমলতা, ইমন, মনোময় এর থেকে ঢের ভালো! মুম্বাই নিয়ে এত মাতামাতি কিসের? তাঁর এই মন্তব্য ঔদ্ধত্যজনক বলে কটাক্ষের বন্যা বয়ে গিয়েছিল নেটপাড়ায়। তবে একথা তিনি প্রয়াত গায়ক ‘কেকে’কে অপমান করে বলেননি বলেই সাফাই দিয়েছিলেন পরবর্তীকালে।
গতবছর এই ঘটনার জেরে কটাক্ষের পাশাপাশি ‘মিও আমোরে’র জিঙ্গেলের কনট্র্যাক্ট পর্যন্ত হারিয়েছিলেন তিনি। তবে সেসব বিতর্ক চাপা পড়েছে সময়ের সাথে। কিন্তু আচমকাই আবারও বিতর্কের মুখে গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। কারণ কি? উত্তরে জানা যাচ্ছে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে রূপঙ্কর পত্নীর অশ্লীল কথাবার্তার অভিযোগ করা হয়েছে।
দেবারতি দেবী নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে ক্যাপশনে ভয়ংকর অভিযোগ এনে মহিলা লিখেছেন, পোস্ট অফিসে কাজের জন্য এসে অশ্লীলভাবে কথা বলা থেকে জোরজুলুম করা হয়েছে। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ও নেটিজেনরা তীব্র সমালোচনা শুরু করছে।
আরও পড়ুনঃ সামান্যতম সৌজন্যবোধ নেই, নতুন প্রজন্মের তারকাদের ব্যবহার নিয়ে বিস্ফোরক শঙ্কর চক্রবর্তী
যেমনটা জানা যাচ্ছে পোস্ট অফিসে আঁধারের কাজের জন্য সস্ত্রীক উপস্থিত হয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। সেখানে গিয়ে তাঁরা তাড়াতাড়ি কাজ করে দেওয়ার দাবি করেন। যেটা সরকারি অফিসের কর্মচারীরা অস্বীকার করেন। কারণ আগে থেকেই অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাদের করে দেওয়ার পরেই কাজ করে দেওয়া হবে। এতেই শুরু হয় বচসার। এরপর অবশ্য তাঁরা চলে যান, ফেরত আসেন দুপুর দেড়টা নাগাদ।
দেড়টার বদলে ১.৩৫ এ তাদের কাজ শুরু হয়, এতেই শৈল্পিক সত্বায় আঘাত লাগে গায়কের। তাঁর স্ত্রী চৈতালি দেবীর বক্তব্য অনুযায়ী “মুড়ি মুড়কি এক করলে চলবে না, বুঝতে হবে কাকে আগে করতে হবে”… অর্থাৎ ওনারা দামী মুড়কি আর সকাল থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলি সস্তার মুড়ি। এরপর ডাকঘরের কর্মীরা ছুটে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে মেজাজ হারান রূপঙ্কর বাবু।
আরও পড়ুনঃ ‘পরিচালকরা সব আঁতেল, দেব-জিৎ দুটোই হারামজাদা!’ কেন এমন বিস্ফোরক সুমিত গাঙ্গুলী? দেখুন ভিডিও
ফেসবুক পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ‘অহঙ্কারবশত বাগচিবাবু ভুলে যান যে উনি একজন কর্তব্যরত সরকারী কর্মচারীর সাথে কী ব্যবহার করছেন, তাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে বলেন “F*** you” তারপর আমরা সকল কর্মী এবং সেখানে উপস্থিত কিছু কাস্টমারেরা সম্মিলিত ভাবে জোর গলায় ওনার “unparliamentary” শব্দবন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বাগচিপত্নী স্বামীকে বগলদাবা করে পিছু হটতে বাধ্য হন।’ ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ারপর থেকেই আবারও তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার শুরু হয়েছে।
** বিঃদ্রঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ও অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বংট্রেন্ডের পক্ষ থেকে।