সকালে কুয়াশার আনাগোনা, রাতে কম্বল জড়িয়ে ঘুমনো বলে দিচ্ছে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ার আগমন হয়েছে। ভ্যাপসা গরম, প্যাচপ্যাচে বর্ষা শেষে বাংলায় প্রবেশ করেছে হিমেল হাওয়া। আর এই শীত পড়ার সঙ্গেই বাঙালির মন বেড়াতে যাওয়ার জন্য (Travel) ছটফট করতে শুরু করে দিয়েছে। অনেকেই বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন।
আপনিও যদি নভেম্বরের এই হালকা শীতে (Winter) কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং করে থাকেন তাহলে একদম সঠিক প্রতিবেদন পড়ছেন। কারণ আজকের প্রতিবেদনে একটি দুর্দান্ত অফবিট লোকেশনের (Offbeat Location) খোঁজ নিয়ে এসেছি আমরা। ছবির মতো সুন্দর এই সাজানো গ্রামের নাম হল রঙ্গো ভ্যালি (Rongo Valley)। ইন্দো-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম এটি।
রঙ্গো ভ্যালিতে গেলে আপনি যেমন ডুয়ার্সের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, তেমনই আবার নির্জনে-নিরিবিলিতে কিছুটা সময়ও কাটাতে পারবেন। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, ঝর্ণা- সবকিছুর স্বাদ পাবেন এখানে। সিনারির মতো সুন্দর এই গ্রামে ঘুরতে গেলে চোখের নিমেষে কেটে যাবে দিনগুলো।
আরও পড়ুনঃ এক নিমেষে দূর সারা বছরের ক্লান্তি! অফবিট এই পাহাড়ি গ্রামে একবার গেলে চাঙ্গা হয়ে যাবে শরীর-মন
রঙ্গো ভ্যালি প্রধানত সিঙ্কোনা চাষের জন্য বিখ্যাত। পাশাপাশি এখানে নানান রকম ঔষধি গাছেরও চাষ হয়। আর যেহেতু এই পাহাড়ি গ্রাম জঙ্গল দিয়ে ঘেরা তাই এখানে গেলে নানান রকম পশু-পাখির দর্শনও হয়ে যায়। সেই সঙ্গেই পায়ে হেঁটে এই গ্রামে ঘুরতে বেরোলে দেখতে পাবেন ছোট ছোট একাধিক ঝর্ণা।
কী দেখবেন?
রঙ্গো ভ্যালি থেকে একটু দূরেই রয়েছে একটি মনেস্ট্রি। সেখান থেকে ভ্যালির রূপ একবার দেখলে তা মনে থেকে যাবে সারাজীবন। এছাড়া আপনার যদি ট্রেকিং ভালোলাগে, তাহলে এই গ্রামে গেলে আপনার বেশ ভালোলাগবে। কারণ এখানে ট্রেকিং করতে পারবেন আপনি। এই রঙ্গো ভ্যালি থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডালগাঁও ভিউ পয়েন্ট। ইচ্ছা হলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের বুকে সুইমিং পুল, পাশেই বইছে নদী! শীতকালের আদর্শ গন্তব্য এই অফবিট পাহাড়ি গ্রাম
কীভাবে যাবেন?
রঙ্গো ভ্যালির সবচেয়ে কাছের স্টেশন হল নিউ মাল জংশন। সেখান থেকে এই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। নিউ মাল জংশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে আপনি চলে যেতে পারেন এখানে।
কোথায় থাকবেন?
উত্তরবঙ্গের বাকি সকল অফবিট পাহাড়ি গ্রামের মতো রঙ্গো ভ্যালিতেও থাকার জন্য একাধিক হোমস্টে রয়েছে। থাকা-খাওয়া মিলিয়ে আপনার খরচ পড়তে পারে ১২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। তবে যে হোমস্টেতেই থাকুন না কেন, আগে থেকে যোগাযোগ করে যেতে ভুলবেন না যেন।