পুজো এসে গিয়েছে! সবার মুখে এখন এই একটাই কথা। মাঝখানে আর একটা সপ্তাহ তারপরেই রবিবার অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর পড়ছে মহালয়া। এখন থেকেই যেন চারপাশের আকাশে বাতাসে ভাসছে পুজো পুজো গন্ধ। তাই এখন থেকেই উৎসব প্রিয় বাঙালি মেতেছে ছোটো খাটো গেট টুগেদার সহ নানান রকম পুজো প্ল্যানিং নিয়ে।সেইসাথে জোর কদমে চলছে পুজোর কেনাকাটাও।
সাধারণ মানুষও কিংবা সেলিব্রিটি পুজোর কটা দিন উৎসবের আনন্দে মেতে থাকেন সকলেই। ব্যতিক্রম নান বাংলার প্রথম সারির অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। এ বছরের কালার্স বাংলার মহালয়া দেবী দশমহাবিদ্যায় দেবী দুর্গা সেজেছেন তিনি নিজেই। যার জন্য ইতিপূর্বে নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
কিছুদিন আগেই দেবী দশমহাবিদ্যা ট্রেলার ভাইরাল হওয়ার পরেই ভাইরাল হয় অভিনেত্রীর একটি ছবি। সেই ভাইরাল ছবিতে ঋতুপর্ণার মহিষাসুরমর্দিনী রূপ যেমন দেখা যাচ্ছে তেমনি পাশেই লেখা রয়েছে, ‘ইনি বিনি টাপা টিনি, মহিষাসুরমর্দিনী’। এমনকি ছবিতে চ্যানেলের লোগো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। যা নিয়ে তৈরী হয়েছিল বিরাট বিতর্ক।
কারোর মতে চ্যানেল আর কেউ কে পেল না? আবার অনেকে টলিউড অভিনেত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ করে লিখেছিলেন ‘বুড়ি দুর্গা’। তো কারোর মন্তব্য, ঋতুপর্ণা ভালো অভিনয় করেন ঠিকই কিন্তু দূর্গা রূপে ঠিক মানাচ্ছে না। যদিও এসবের কোনো উত্তর মেলেনি অভিনেত্রীর তরফ থেকে। তবে সমস্ত কটকের পরেও মুখ খুলতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।
প্রথমবার বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় দেবী দুর্গার রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। আসলে অভিনেত্রীর পথচলা শুরু হয়েছিল নাচ নিয়েই। ছোটবেলা থেকে নাচই ছিল তার প্যাশন। তাই তার জীবনের সাথে ভীষণভাবে জড়িয়ে রয়েছে নাচ। আর তাই অভিনেত্রী জানিয়েছেন টেলিভিশনে যখনই তিনি নাচ নিয়ে অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেয়েছেন সবসময় তিনি খুব এক্সাইটেড থেকেছেন।
তাই এবারও টেলিভিশনের পর্দায় মহালয়ায় প্রথমবার দুর্গা সাজার অফার পেয়ে তিনি খুবই এক্সাইটেড ছিলেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন খুব যত্ন নিয়েই কাজটা করেছেন তারা। ঋতুপর্ণার কথায় মহালয়ার দেবী দুর্গার সাজতে তার মোট সময় লেগেছে তিন ঘন্টা। মাথার চুল থেকে চোখ সমস্ত মেকআপ করার জন্য থাকতো চার পাঁচ জন মেকআপআর্টিস্ট। অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই মহালয়ায় দেবী দুর্গা সাজার জন্য তিনি এতটাই এক্সাইটেড ছিলেন যে তিনি ভাইরাল ফিভারের কাবু হয়েও মহালয়ার কাজ করার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি। জ্বর গায়েই তিনি করেছিলেন মহালয়ার শুটিং।