পৃথিবীর আনাচে কানাচে প্রতিনিয়তই নানান ঘটনা ঘটে চলেছে। যা রীতিমতো অবাক করে চলেছে আমাদের। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমেই সেগুলি ধরা পড়ছে আমাদের চোখে। সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে সত্যিই আমাদের অনেক কিছুই অজানা হয়ে হয়েই থেকে যেত। আর তাই আমাদের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদানকে কোনভাবেই অস্বীকার করা যায়না।
সম্প্রতি আসামের তিনসুকিয়া জেলার মাগুরি মোটাপুং বিলে একসপ্তাহের বেশি সময় ধরে একটি বিরল প্রজাতির মান্ডারিন হাঁস দেখা গেছে। ট্যুর গাইড মাধব গোগই ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম এটিকে দেখতে পায়। ২০২০ সালে প্রাকৃতিক গ্যাসের কূপে বিস্ফোরণ হয়ে আক্রান্ত হয় এই অঞ্চল।
তিনসুকিয়ার বাসিন্দা পাখি গাইড বিনন্দ হাতিবরুয়া বলেছেন যে, যখন শুনলাম যে মাধব হাঁসের দেখা পেয়েছে তখন আমি তাকে বিশ্বাস করি নি। কিন্তু আমি যখন নিজে পাখিটার দেখা পেলাম তখন আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। আর আনন্দে মাধবকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। কেননা এই পাখিটি সর্বশেষ এক শতাব্দী আগে অর্থাৎ ১৯০২ সালে আসামের এই অংশে দেখা গিয়েছিল।
এই হাঁসটি হল বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাঁস হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৭৫৮ সালে সুইডিশ উদ্ভিদবিদ, চিকিৎসক এবং প্রাণীবিজ্ঞানী কার্ল লিনিয়াস প্রথম এই পাখিটিকে চিহ্নিত করেছিলেন। এই পাখিটিকে দেখতে খুবই সুন্দর ও খুবই কালারফুল। ২০১৮ সালে নিউইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্কের একটি পুকুরে এই ম্যান্ডারিন হাঁসকে দেখা গিয়েছিল। আর এটি দেখা মাত্রই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।
বন বিভাগের প্রাক্তন যুগ্মসচিব আনোয়ারউদ্দিন চৌধুরির মতে, এই হাঁসটি একটি বিরল প্রজাতির পাখি। এটিকে কখন কে দেখতে পাবে তা কেউই জানে না। কমলা রঙের ডানা ও পুরো শরীরটি বিভিন্ন রঙে মোরা। পাখিটিকে এতটাই সুন্দর দেখতে যে, একবার দেখলে তার থেকে চোখ ফেরানো দায়। তবে, বুধবার শেষ এই ম্যান্ডারিন হাঁসকে দেখা যায়।