• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

বাবা থাকা যে কত বড় আশীর্বাদ যাদের রয়েছে তাঁরাই জানেন! বলতে গিয়েই চোখে জল রচনা ব্যানার্জীর

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে মায়ের গুরুত্ব কতখানি তা বহুবার শুনেছি। একাধিকবার একাধিক সিনেমাতেও মা এবং সন্তানের কাহিনী ফুটে উঠেছে। কিন্তু এসবের মাঝে কোথাও যেন আড়ালেই রয়ে গিয়েছে বাবার ভালোবাসা, আত্মত্যাগ। মা হওয়া যেমন সহজ নয়, তেমনই বাবা হওয়াও সহজ নয়। এবার বাবা-ছেলের এমনই এক দুর্দান্ত কাহিনী নিয়ে আসছেন পরিচালক অভিজিৎ সেন। শীঘ্রই আসছে দেব-মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘প্রজাপতি’ (Projapoti)।

সিঙ্গেল ফাদার এবং ছেলের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিতে। ছবির ট্রেলার, গান বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। আগামী ২৩ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এই ছবি। সম্প্রতি এই ছবির প্রচারে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee) ‘দিদি নম্বর ১’য়ে (Didi No. 1) গিয়েছিল টিম ‘প্রজাপতি’। রচনার সঙ্গে দেবের খুনসুটির নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

   

Rachana Banerjee

তবে ছবির গল্পই যেখানে বাবা-ছেলের তাই স্বাভাবিকভাবেই ‘দিদি নম্বর ১’এর পর্বেও উঠে এসেছিল একজন ব্যক্তির জীবনে বাবার অবদানের কথা। আর বাবার কথা বলতে গিয়েই চোখ ছলছল করে ওঠে সকলের প্রিয় ‘দিদি নম্বর ১’ রচনার।

গত বছর পিতৃহারা হয়েছেন রচনা। এখনও সেই শোক যে তিনি সম্পূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেননি, তা ফের একবার বোঝা গেল সঞ্চালিকার কথায়। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাবার কথা মনে করে অঝোরে কাঁদছেন তিনি।

Rachana Banerjee crying remembering her father

রচনা বলেন, বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে বলে ছোট থেকেই খুব আদরের তিনি। তবে মা রাগি ছিলেন। ছোটবেলায় মারধরও খেয়েছেন। তবে বাবার কাছে তিনি ছিলেন রাজকন্যা। মার খাওয়া তো দূরে থাক, মেয়েকে কোনোদিন বকেননি রবীন্দ্রনাথবাবু। বরং জীবনের প্রত্যেকটি পদে পদে মেয়েকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। নিজের জীবনে যত সাফল্য, ভালোবাসা পেয়েছেন সবটাই বাবার আশীর্বাদ বলে মত রচনার।


বাবার বিষয়ে কথা বলতে বলতেই চোখে জল চলে আসে রচনার। অভিনেত্রীর সংযোজন, বাবার হাত ধরে পথচলা, বাবাকে পাশে পাওয়া যে কত বড় আশীর্বাদ সেটা যাদের রয়েছে তাঁরাই জানেন। জীবনে বাবা থাকা সত্যিই খুব ভাগ্যের ব্যাপার। আর যাদের জীবন থেকে বাবা চলে গিয়েছেন তাঁরা বুঝবেন এই চোখের জল কেন পড়ছে। প্রসঙ্গত, গত বছর ১৫ নভেম্বর প্রয়াত হন রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথবাবু। বাবাকে হারিয়ে প্রথমে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে হাসিমুখে কাজে ফেরাও সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে। তবে বাবার চিরকাল শিখিয়েছেন কাজে মন দেওয়ার কথা, সেই শিক্ষাকেই মনে করে ফের সকলের মুখে হাসি ফোটাতে চলে এসেছেন ‘দিদি নম্বর ১’ রচনা।