দর্শকদের বিনোদনের চাহিদা পূরণে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় একাধিক সিরিয়াল (Serial) সম্প্রচারিত হয়। তবে কিছু সিরিয়াল এমন থাকে যা দর্শকদের মনে গেঁথে যায়। এমনই একটি ধারাবাহিক ছিল ‘ফিরকি’ (Phirki)। এক বছরেরও কম সময়ে চলেছিল ধারাবাহিকটি তবে মাত্র ২২৫ পর্বেই মন জিতেছিল সকলের।
আর পাঁচটা সিরিয়ালের মত প্রেম কাহিনী বা কুটক্যাচালি ছেড়ে সমাজের রূপান্তরকামী মানুষদের বাস্তব জীবনের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছিল এই গল্পে। যেখানে ফিরকির ‘মিতা মাসি’ চরিত্রে ঐন্দ্রিলা ঘোষের (Aindrila Ghosh) অভিনয় নজর গেড়েছিল সকলের। ইন্ডাস্ট্রির বাকিদের মতো শুধুমাত্র নায়িকা হওয়ার জন্য তিনি অভিনয় জগতে আসেননি। বরং পর্দায় বিভিন্ন ধরনের চরিত্রগুলিকে ফুটিয়ে তোলার মত এক ব্যতিক্রমী চরিত্রা অভিনেত্রী তিনি।
আসলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই এমন অভিনেত্রী রয়েছেন যারা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেও সকলের মনে ছাপ ফেলতে পেরেছেন। ঐন্দ্রিলা ঘোষ তাদেরই মধ্যে একজন। ফিরকি সিরিয়ালের পর বর্তমানে দুটি সিরিয়ালে কাজ করছেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে একটি জি বাংলার কোন গোপনে মন ভেসেছে। গল্পে টুম্পা চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে। অন্যদিকে স্টার জলসার রামপ্রসাদ সিরিয়ালেও দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলাকে। ধারাবাহিকে রানী ভবানী মা জয় দুর্গা চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রগতির বাংলার সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেখানেই নিজের অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলেন অভিনেত্রী। ছোট বেলা থেকেই সকলে বলতেন ভালো পড়াশোনা করে চাকরি করতে হবে। কত্থক ও রবীন্দ্রনৃত্যে সিনিয়র ডিপ্লোমার পাশাপাশি BCA করেছেন তিনি। এরপর এক IT কোম্পানিতে চাকরিও করেন। পার্ট টাইম চাকরি আর থিয়েটার একসাথেই চলত। নাটক দিয়ে শুরু হয় অভিনয়ের যাত্রা। তারপর একসময় চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি অভিনয়কেই সময় দিতে শুরু করেন।
তিনি জানান, ২০১১ সাল থেকে অভিনয়ের সাথে যুক্ত, থিয়েটারও করেছেন তিনি। তবে আজকাল মডেলিং করেই সিরিয়াল লিড চরিত্র পেয়ে যায় দেখে কষ্ট হয়। থিয়েটারে যারা কাজ করেছে তারা একটা সুযোগের অপেক্ষায় ঘুরছে, আমিও প্রচুর অডিশনে গিয়েছি। অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেলেও কাজ মেলেনি।
এদিন ‘ফিরকি’ চরিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘সেসময় এক উবের ড্রাইভার আশীর্বাদ হিসাবে একটাকা চেয়েছিল। অনেকেই বিশ্বাস করেন হিজড়েদের আশীর্বাদ দেওয়া কয়েন মানিব্যাগে রাখলে উন্নতি হয়। এই ঘটনার দিন বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলেছিলাম। মনে হয়েছিল আমি কিছুটা হলেও পেরেছি চরিত্রটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে’।