উইম্যান এমপাওয়ারমেন্টের (Woman Empowerment) কথা উঠলেই আমাদের মাথায় কোনও উচ্চপদে কর্মরত মহিলা, বড় সমাজকর্মী কিংবা তারকার কথা মাথায় আসে। তবে এই ক্ষেত্রগুলির বাইরেও এমন অনেক সফল মহিলা (Successful Woman) আছেন যাদের কাহিনী আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। আজকের প্রতিবেদনে এমনই একজন মহিলার কাহিনী নিয়ে এসেছি আমরা।
আজ যার কাহিনী বলবো তিনি গত ২৬ বছর ধরে দিল্লির মান্ডি হাউসে শ্রীরাম সেন্টারের বাইরে একটি ছোট্ট বইয়ের দোকান চালান। স্থানীয় মানুষদের কাছে তাঁর পরিচিতি ‘নিউ বুক আন্টি’ (New Book Aunty) নামেই বেশি। কেউ কেউ তাঁকে ‘মা’ বলেও সম্বোধন করেন। ওনার আসল নাম হল সঞ্জনা তিওয়ারি (Sanjana Tiwari)। বিহারের এক ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
একটি নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সঞ্জনার পরিবারে স্বামী, এক ছেলে এবং মেয়ে রয়েছেন। প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত। সঞ্জনার স্বামী পেশায় একজন সাংবাদিক। অপরদিকে তাঁর ছেলে ডাক্তার। মেয়ে এখন পিএইচডি করছেন এবং জামাই হলেন আইপিএস।
আরও পড়ুনঃ ‘কে নন্দিনী চিনি না!’ স্মার্ট দিদির নাম শুনতেই চটে লাল বিক্রেতা, ফাঁস হতেই ভাইরাল ভিডিও
এত ভালো পরিবারের বউ হয়েও কেন ফুটপাতে বসে বইয়ের দোকান (Book Stall) চালান? সঞ্জনার কাহিনী শুনলে অনেকের মনেই উঁকি দেয় এই প্রশ্ন। জবাবে তিনি জানান, বইয়ের দোকান চালানোটা হল তাঁর শখ। তবে শুধু দোকান চালানোই নয়, তিনি একজন লেখিকাও।
আরও পড়ুনঃ সাবেকিয়ানায় মোড়া মহালয়া-দশমী, রইল কলকাতার অফবিট বনেদি বাড়ির দূর্গা পুজোর হদিশ
প্রত্যেকদিন নিজের স্কুটার করে সঞ্জনা বই পরিবহণ করেন। এই বয়সে এসেও একা হাতে সম্পূর্ণ দোকান সামলান তিনি। শখ পূরণের জন্য সঞ্জনা যে পরিমাণ পরিশ্রম করেন তা অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগায়। অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বও সঞ্জনার দোকানে এসে বই পড়েছেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে পঙ্কজ ত্রিপাঠী, রাজকুমার রাওয়ের মতো জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতাদের।
প্রসঙ্গত, সকাল ১০টার সময় দোকান খোলেন সঞ্জনা। রাত ৯টা অবধি খোলা থাকে তাঁর বুক স্টল। ‘নিউ বুক আন্টি’র দোকানের নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশন হল মান্ডি হাউস। শ্রীরাম সেন্টারের ঠিক বাইরেই বই নিয়ে বসেন সঞ্জনা।