একেরপর এক ধামাকা পর্ব দেখিয়ে জি বাংলার (Zee Bangla) নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) এখন বাংলার সেরা সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম। সাপ্তাহিক টিআরপি তালিকা দেখলেই এর প্রমাণ মেলে। পর্ণাকে নিয়েই প্রাণ ওষ্ঠাগত ছিল বাবুউউর মায়ের। তারপর বাড়ির ছোট ছেলে চয়ন বিয়ে করে এনেছে রুচিরাকে। গল্পে পর্ণা চরিত্রে আছেন পল্লবী শর্মা (Pallabi Sharma) আর অন্যদিকে রুচিরার চরিত্রে আছেন সৌমি চক্রবর্তী (Soumi Chakraborty)।
কৃষ্ণার সাথে প্ল্যান করে সৃজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ঈশা। কিন্তু সেটা তো হয়নি উল্টে রীতিমত মুখ পুড়িয়ে বিদায় নিয়েছে দত্তবাড়ি থেকে। কিন্তু এবার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেগেছে ঈশা। সম্প্রতি চ্যানেলের পক্ষ থেকে একটি প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে রুচিরা মার্ডার হয়ে গিয়েছে। আর এই খুনের জন্য গ্রেফতার হয়েছে পর্ণা। পুলিশ ভ্যানে উঠে পর্ণা মনে মনে বলে ওঠে, ‘এটা তুমি কি করলে জগু দাদা? আমি যে নির্দোষ। সৃজন তুমি কোথায়?’
এরপরেই দেখা যায় বুলেট নিয়ে পর্ণাকে বাঁচাতে ছুটে আসছে সৃজন। এই তো সবে বিয়ে হল, তারপরেই এমন টুইস্ট? সত্যিই কি মারা গেল রুচিরা? এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে দর্শকদের মনে। এসবের মাঝেই রুচিরা অভিনেত্রী সৌমি চক্রবর্তী মুখ খুলেছেন একটি সাক্ষাৎকারে। সিরিয়ালের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিনেত্রীকে। তখন সুখবরের পাশাপাশি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনঃ মা ছেলের ফুলশয্যা থেকে বিয়ের আগেই বিছানায়! ২০২৩ সালে চরম বিতর্কে জড়িয়েছে এই ৩ মেগা সিরিয়াল
সৌমি হাসি মুখেই জানান এখনই শেষ হচ্ছে না নিম ফুলের মধুতে তাঁর পার্ট। অর্থাৎ মারা যাবেন না রুচিরা, গল্পে নতুন টুইস্ট আনার জন্যই এই ট্র্যাক আনা হয়েছে। আবারও ঠিকই ধারাবাহিকে ফিরবে রুচিরা। পর্ণাই তাকে উদ্ধার করবে। তাই এখন দেখার বিষয় কিভাবে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রুচিরাকে কিভাবে বাঁচাবে পর্ণা!
সিরিয়ালে ফেরার প্রশ্নের পর বাস্তবে পল্লবীর শর্মার সাথে বন্ডিং কেমন সেটা জানতে চাওয়া হয়। এর উত্তরে সৌমি জানান, পর্দার মত বাস্তবেও খুব ভালো বন্ডিং দুজনেরই। শুটিং ফ্লোরে একসাথেই খাওয়া, আড্ডা চলে। কাজ যেমন চলে তেমনি গান-বাজনার আসর বসে, হইচই থেকে মজা সবই হয়। তবে অদ্ভুত বিষয় হল শুরুতে রুচিরার চরিত্রে অভিনয়টাই করতে চাননি সৌমি।
আরও পড়ুনঃ ‘হ্যাঁ দীপাকে ভালোবাসি’, অর্জুনকে মারতে তেড়ে গেল সূর্য! টিভির আগেই ফাঁস তোলপাড় করা পর্ব
এদিন সাক্ষাৎকারে সৌমি বলেন, আমায় প্রথম যখন নায়িকার বান্ধবীর চরিত্র অফার করা হয় তখন আমি করতেই চাইনি। তবে সবাই আমায় উৎসাহ দিয়েছিল এই চরিত্রটা করার জন্য। সকলেরই মুখে এক কথা, চরিত্রটা ভালো। অভিনয় করার পর সত্যিই সবার কথা মিলে গেল। এখন মানুষের মন জিততে পেরে বেশ ভালো লাগছে।