বাংলা গানের (Bengali Song) জগতে ‘আগুনপাখি’ তিনি। তাঁর গান শুনলে আজও উত্তেজনা ফুটতে থাকেন আপামর বাংলা সংগীতপ্রেমীরা। একসময় তাঁর গানেই প্রথম প্রেমের কুঁড়ি ফুটেছিল সদ্য স্কুলের গন্ডি পেরনো স্কুল পেরনো বাংলার ‘নীলাঞ্জনা’দের মনে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে সকলের প্রিয় নচিকেতা চক্রবর্তীকে (Nachiketa Chakraborty) নিয়ে। তাঁর গাওয়া ‘বৃদ্ধাশ্রম’ শুনলে আজও অজান্তেই চোখে জল এসে যায়।
চাঁচা-ছোলা ভাষায় গান বেঁধে বরাবরই সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে নচিকেতাকে। এইভাবেই গানে গানে এই সংগীত জগতে ৩০ বছর পার করে ফেলেছেন নচিকেতা। তাই তাঁকে নিয়ে আরও একবার চিরাচরিত পাগলামিতে মেতে উঠেছিলেন শহরবাসী। তাই তাঁকে ট্রিবিউট জানাতে গত শনিবারেই রবীন্দ্র সদনে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর একক অনুষ্ঠান ‘তিন দশকে নচিকেতা’।
এদিন নচিকেতার এই অনুষ্ঠানে টানানো ব্যানারের দিকে তাকিয়েই চোখ আটকিয়ে যায় সবার। বড় বড় বাংলা হরফে সেই ব্যানারে লেখা ছিল ‘বাঙালির কোনও অপশন নেই নচিকেতা ছাড়া’। যা দেখে নিমিষে মন ছুঁয়ে যায় নচিকেতা ভক্তদের। এদিন প্রিয় গায়কের গান শুনতেই দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন বহু নচিকেতা ভক্তরা। এদিন তাঁর এই গানের অনুষ্ঠানের সমস্ত টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিল সাত দিনেই।
আরও পড়ুনঃ বউকে অপমান করেই নায়ক থেকে খলনায়ক, দর্শকদের মতে ভিলেন বাংলা সিরিয়ালের এই তারকারা
টি দশকের সুরেলা সফর পেরিয়ে এসে সম্প্রতি সংবাদ প্রতিদিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বলেছেন ‘আমি ম্যাজিক জানি না। স্রেফ সৎভাবে গান গাওয়ার চেষ্টা করি। সবটাই ঈশ্বরের আর্শীবাদ। নচিকেতা হওয়া যায় না, নচিকেতার জন্ম হয়’। গায়কের কথায়, ‘অস্থির সময়ের প্রোডাক্ট আমি। ওই সময়টা যদি না তৈরি হয়, তাহলে নচিকেতা হওয়া অসম্ভব। আগামী ৫০ বছরেও আরেকটা নচিকেতা আসবে না, এইটুকু বলতে পারি’।
আরও পড়ুনঃ হুড়মুড়িয়ে বাড়বে TRP! পুরোনোদের টাটা বলে, প্রকাশ্যে ‘লাভ বিয়ে আজকাল’র টাইম স্লট
এরপরেই চারপাশে তাঁর ক্যান্সার নিয়ে যে ভুয়ো খবর রটছে এপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জল্পনা উড়িয়ে দিয়েই এদিন গায়ক জানালেন, ‘দাপিয়ে শো করে বেড়াচ্ছি, তার মধ্যেই কারা রটিয়ে বেড়াচ্ছে আমার নাকি ক্যান্সার হয়েছে। কিছু হয়নি আমার, বলে বলে অসুস্থ করে দেবেন না’। এরপরেই ভক্তদের উদ্দেশ্যে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই নচিকেতার বার্তা ‘হৃদয়ে রাখিস, আমার কোনও লোভ নেই রে পাগলা’।