বিগত কিছুদিন ধরে যেন বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মুকুট'(Mukut)-এর। কিছুদিন আগেই এই ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এই সিরিয়ালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র দোল (Dol) অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায় (Sriparna Roy)। কারণ হিসেবে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন প্রযোজনা সংস্থার সাথে কিছু মতের অমিল হওয়ায় তিনি সিরিয়াল ছেড়েছেন।
আর তারই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই সিরিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে এসে এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিনেতা যুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন ধরেই এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছিল রমণীমোহন হালদারকে। প্রসঙ্গত মুকুট ছাড়াও ব্লুজ আরো একটি ধারাবাহিক ‘নায়িকা নাম্বার ওয়ান’-এ অভিনয় করছিলেন তিনি। কদিন আগেই ব্লুজের এই জোড়া সিরিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে এসে ফেসবুকে এক ভয়ানক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।

নাম না করেই স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অভিনেতা লিখেছিলেন ‘শিল্পীর মানহানি করে শিল্পকে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয়টা আর সহ্য হলো না। ভালোবেসে কাজটাই শুধু করতে পারি আর সেটুকুই করি। বিদায় অহংকার’। এছাড়া একটি ইউটিউব চ্যানেলে যুধাজিৎ দাবি করেন তাকে না জানিয়েই নাকি আচমকা বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও প্রোডাকশন হাউসের বিরুদ্ধে ওঠাই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন এই সিরিয়ালের প্রধান নায়িকা মুকুট অভিনেত্রী শ্রাবণী ভুঁইয়া (Shrabani Bhunia)।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রযোজক স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। প্রিয় দাদাকে সমর্থন করেই পর্দার মুকুট অভিনেত্রী লিখেছেন ‘আমি বর্তমানে ব্লুজ-এর মুকুট সিরিয়ালে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে আমি সসম্মানে কাজ করছি এবং আমি অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে ধন্য মনে করি ব্লুজ সংস্থা থেকে নিজের যাত্রা শুরু করে। কয়েকদিন ধরে দেখছি একজন মানুষ মন্দির-সমান এই প্রতিষ্ঠানটির নামে মিথ্যে অপবাদ রটানোর চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুনঃ টলিউডে পা রেখেই বদলেছে স্বভাব-চরিত্র! ফাঁস হল জিতু-নবনীতার বিচ্ছেদের আসল কারণ

আরও পড়ুনঃ এখনকার বাংলা সিনেমায় কোনো তারকা নেই, সবাই বড় তড়কা! বিস্ফোরক বিপব চ্যাটার্জী
একেবারে শেষে অভিনেত্রীর সংযোজন ‘স্নেহাশিসদা এত মানুষের দায়িত্ব নিয়ে বসে রয়েছেন তাঁকে দয়া করে অপমান করবেন না’। তবে শ্রাবণী একা নন প্রযোজক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর সমর্থনে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন টেলিপাড়ার আরো একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ত্বরিতা চ্যাটার্জী।
ত্বরিতা লিখেছেন ‘আমি ব্লু’জকে এবং দাদা (স্নেহাশিস চক্রবর্তী)-কে চিনি প্রায় ১৩ বছর আর কাজ করছি ৮ বছর। খুব গর্বিত যে এত পুরনো একটি হাউজ এবং কর্ণধার একজন বাঙালি। আমি এটুকু বলব একটি হাউজ এত বছর ধরে এতগুলো ধারাবাহিক করেছে এবং ক্যামেরার সামনে এবং পিছনে তিনি এতগুলো মানুষকে যুক্ত করেছেন এবং এখনও এত মানুষ যুক্ত, তাঁদের প্রতিনিয়ত কাজের চিন্তা এই হাউজ এবং এই মানুষটি করেন। আপনাকে কে বলল যাঁরা এই হাউজে কাজ করেন তাঁরা জি হুজুরি করেন!’














