ঘন, কালো, লম্বা চুল (Hair) কমবেশি প্রত্যেক মেয়েই চায়। ছোটবেলায় রূপকথার গল্প পড়তে পড়তে অনেক মেয়েই বড় হয়ে একঢাল চুল (Longest Hair) রাখার স্বপ্ন দেখতেন। তবে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি কারোর। দূষণ, সঠিক পরিচর্যার অভাবে একমাথা লম্বা চুল পাওয়া তো দূর, যেটুকু আছে সেটাকে বাঁচিয়ে রাখাও এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
তাই বলে এমনটা ভাববেন না যে ‘কেশবতী রাজকন্যে’ শুধু রূপকথার গল্পেই হয়। বাস্তব জীবনেও হাতেগোনা এমন কয়েকজন আছেন যাদের চুল ঠিক একেবারে র্যাপুনজেলের মতো। এমনই একজন হলেন স্মিতা শ্রীবাস্তব (Smita Srivastava)। উত্তর প্রদেশের ৪৬ বছর বয়সী এই মহিলার পায়ের পাতা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে।
৭ ফুট ৯ ইঞ্চির চুলের যত্ন করতে এবং সামলাতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেয়ে যান স্মিতা। উত্তর প্রদেশ নিবাসী স্মিতার মা ছোট থেকেই চাইতেন মেয়ে বড় চুল হোক। সেই কারণে ছেলেবেলা থেকেই মেয়ের চুলের ভীষণ যত্ন করতেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পেটে বিদ্যে থাকলেও মানুষকে সম্মান করতে পারে না! ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনীকে ধুয়ে দিল ভাইরাল মিষ্টি দিদি
মায়ের দেখাদেখি একটু বড় হতেই স্মিতা নিজের চুলের যত্ন করা শুরু করে। মা তাঁকে চুল কাটতে দিতেন না। শেষ কবে চুলে কেটেছেন তা মনে পড়ে না স্মিতার। বিয়ে করেছেন, সন্তানের মা হয়েছেন, সেই সঙ্গেই অল্প অল্প করে বড় হয়েছে তাঁর মাথার চুল।
বাড়ির বাইরে গেলে চুল বেঁধে রাখতে হয় স্মিতাকে। তবে যখন বাড়িতে থাকেন সেই সময় মাঝেসাঝে চুল খুলে রাখেন তিনি। বহুবার হয়েছে, নিজের চুলেই পা জড়িয়ে পড়ে গিয়েছেন স্মিতা। চুল এতটাই লম্বা যে তার পরিচর্যা করতে গোটা একটা দিন সময় লাগে তাঁর।
আরও পড়ুনঃ অল্প বয়সেই পাক ধরছে চুলে? রইল প্রাকৃতিক উপায় কুচকুচে কালো চুল ফিরে পাওয়ার উপায়
এত বড় চুল পরিষ্কার রাখতে ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে হয় স্মিতাকে। সপ্তাহে দু’দিন তাই মাথায় শ্যাম্পু দেন তিনি। আর সেই দু’দিন বাড়ির আর কোনও কাজে হাত দেন না তিনি। তবে শ্যাম্পু করা ছাড়া চুলের আর তেমন কোনও পরিচর্যা করেন না স্মিতা। উত্তর প্রদেশ নিবাসী এই মহিলার কথা জানতে পেরে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আসলে স্মিতা খুব ভাগ্যবতী। লম্বা চুলের স্বপ্ন সব মেয়েই দেখে। তবে সবার কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না’।