আজকাল পুরুষ থেকে মহিলা প্রায় সকলেই চুলের নানান সমস্যায় (Hair Problems) ভুগছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো কিশোর বয়সেই নারী পুরুষেরা অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যায় (White Hair Problem) ভোগেন। যেটা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। আসলে চুক পাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা বয়স হলে। যত বয়স বাড়তে থাকে ততই প্রোটিনের ঘাটতি বাড়তে থাকে চুলে। যার ফলে চুল সাদা হয়ে পাকতে শুরু করে।
আর চুল যদি পেকে যায় বয়স্করাই কেমন যেন লজ্জা বোধ করেন। সেখানে অল্প বয়সে চুল পাকলে তো আর ঝামেলার শেষ নেই। তখন সাদা চুলকে ঢাকার জন্য সকলে রং করা শুরু করে। কিন্তু জানেন কি চুল কেন সাদা হয়ে যায়? আসলে চুলের মধ্যে কিছু পিগমেন্ট সেল অর্থাৎ রঙের বিন্দুর মত কোষ থাকে। যেগুলি বয়সের সাথে সাথে মারা গেলে চুলের রং সাদা হয়ে যায়। এছাড়াও প্রোটিনের অভাব তো রয়েছেই।
তবে, সাদা চুল মানেই যে কালারের সাহায্যে তা রং করে নেওয়া উচিত তা কিন্তু নয়। মনে রাখতে হবে চুলের রঙের জন্য ব্যবহৃত কালারগুলি কিন্তু আসলে রাসায়নিক পদার্থ। যা চুলের রং হয়তো এনে দিতে পারে কিন্তু আসলে তা চুলের জন্য বেশিরভাগ সময় ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। এবার হয়তো মনে প্রশ্ন জাগছে তাহলে কি করা উচিত! চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বাদাম তেল (Baadam Oil) সম্পর্কে অনেকেই জানেন। চুলের যত্ন নিতে বাদাম তেল কিন্তু খুব উপকারী। রেশমের মত সুন্দর চুল পেতে গেলে বাদাম তেলের কোনো বিকল্প নেই। বাজারে অনেক ধরণের বাদাম তেল কিনতে পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে একটি ভালো দেখে বাদাম তেল কিনে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন চুলে ম্যাসাজ করুন তাহলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
আমলকি (Aamla) তো সকলেই চেনেন। অনেকেই খাবার হজম করার জন্য আমলকি ব্যবহার করেন। কিন্তু আমলকি বা আমলা কিন্তু চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। আমলা বেটে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে যদি নিয়ম করে লাগানো যায় তাহলেই কেল্লা ফতে। তবে আমলা চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে তারপর তা ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুল আরো সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়ে পরে আর চুল পড়াও কমে যায়।
লেবু (Lemon), এটা এমন একটা ফল যার গুনের শেষ নেই। চুলের সমস্যার ক্ষেত্রেও লেবু দারুন কার্যকরী। প্রতিদিন যদি নারকেল তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করা যায় তাহলে দারুন ফল মিলবে। বিশেষত চুল সাদা হতে থাকা বন্ধ হয়ে যাবে ও চুলের কালো রং আরো বেশি দিন থাকবে।
অনেকেই হয়তো জানেন পিঁয়াজ চুলের জন্য দারুন উপকারী। পিয়াজ বেটে যদি পিয়াজের রস (Onion Juice) চুলের গোড়ায় দিয়ে ২০-২৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করা যায় তাহলে দারুন ফলাফল পাওয়া যায়।
অনেকে ভাবেই শুধুমাত্র চুলের যত্ন নিলেই চুল স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর হয়ে যাবে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা সেরোক্ষম নয়। শরীরকেও সেভাবে তৈরী করতে হবে। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে ভিটাবিন বি,বি-১২,সি ইত্যাদির মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার (Nutritious Food) খেতে হবে, তবেই চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে।