• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

এক মাস বয়সেই পিতৃহারা! ছোট থেকে সংগ্রাম করে আজ সফল অভিনেত্রী ‘খেলনা বাড়ি’র কলি অস্মিতা

সিরিয়াল (Bengali Mega Serial) মানেই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়। প্রত্যেকদিন দেখতে দেখতে ধারাবাহিকের চরিত্ররা হয়ে ওঠেন দর্শকদের ঘরের সদস্য। ঠিক যেমনটা হয়েছে জি বাংলায় সম্প্রচারিত ‘খেলনা বাড়ি’ (Khelna Bari) ধারাবাহিকটির সঙ্গে। সিরিয়ালের প্রতিটা চরিত্রকেই আপন করে নিয়েছেন সকলে।

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘খেলনা বাড়ি’। ইন্দ্র-মিতুলের টক-ঝাল-মিষ্টি রসায়ন দর্শকদের খুব পছন্দের। সেই সঙ্গেই ধারাবাহিকের পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। ‘খেলনা বাড়ি’র কলি (Koli) চরিত্রে অভিনয় করেই যেমন দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী অস্মিতা চক্রবর্তী (Ashmita Chakraborty)।

   

Ashmita Chakraborty

অস্মিতাকে এখন সিংহভাগ দর্শকই ‘কলি’ নামেই চেনেন। ‘খেলনা বাড়ি’তে ডক্টর কথাকলি বসুর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। খুব কম সময়ের মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। এখন অবশ্য কলি নামেই জনপ্রিয় তিনি।

সম্প্রতি ‘খেলনা বাড়ি’ অভিনেত্রী অস্মিতারই বাস্তব জীবনের সংগ্রামের কাহিনী জানতে পেরেছেন দর্শকরা। যা শোনার পর অনেকের চোখে যেমন জল এসেছেন, তেমনই আবার অনেকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিনেত্রীকে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘দিদি নম্বর ১’এ এসে নিজের জীবনের অজানা কাহিনী তুলে ধরেন পর্দার কলি।

Khelna Bari Koli

‘দিদি নম্বর ১’য়ে সম্প্রতি মা পম্পা চক্রবর্তীর সঙ্গে গিয়েছিলেন অস্মিতা। সেখানেই অভিনেত্রীর মা ছলছিল অতীতের কঠিন দিনগুলির কাহিনী সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তিনি জানান, মাত্র ১ মাস বয়সেই পিতৃহারা হয়েছিলেন অস্মিতা।

মিতুলের কলিদিদির মা পম্পা বলেন, ‘তখন ওঁর (অস্মিতা) এক মাস বয়স। সেই সময় আমার স্বামী মারা যান। কোনও শরীর খারাপ ছিল না। এক দুর্ঘটনায় অস্মিতা ওঁর বাবাকে হারিয়েছিল’। এরপর থেকে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু মা-মেয়ের।

Ashmita Chakraborty in Didi Number 1

অস্মিতার মা জানান, স্বামীর প্রয়াণের পর শ্বশুর বাড়িতে থাকতে পারেননি। মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি। এরপর থেকে অনেক কষ্ট করেই মেয়েকে বড় করেন তিনি। প্রাইমারি স্কুলে পড়িয়ে অস্মিতাকে বড় করেছেন। তবে এখন জীবন সচ্ছল। একের পর এক ধারাবাহিকে কাজ করছে মেয়ে। অস্মিতার সাফল্যে গর্বিত মা’ও। দু’জন মিলে গুছিয়ে নিয়েছেন নিজেদের সংসার।