বাংলা সিনেমা (Tollywood) জগতের জনপ্রিয় জন অভিনেত্রী হলেন ইন্দ্রানী হালদার (Indrani Haldar)। দীর্ঘ ৩৭ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও দাপিয়ে কাজ করেছেন ইন্দ্রানী হালদার। তাই ছোট পর্দার দর্শকদের কারও কাছে তিনি ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ তো কারও কাছে তিনি ‘শ্রীময়ী’ নামে পরিচিত। ১৯৮৬ সালে জোছন দস্তিদারের ‘তেরো পার্বণ’ সিরিয়ালের হাত ধরে প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর।
একটা সময় বাংলা সিনেমার পাশাপাশি ইন্দ্রানী হালদার অভিনয় করেছেন মুম্বাইয়ের হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও। তবে অভিনয়ে জীবনের একেবারে শুরুর দিকেই মুম্বাইতে এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। একবার এক সাক্ষাৎকারে এ কথা নিজের মুখে জানিয়েছিলেন খোদ ইন্দ্রানী হালদার নিজেই। প্রসঙ্গত বিনোদন জগতে কাস্টিং কাউচের (Casting Couch) মত অভিযোগ নতুন নয়।
একসময় এমনই এক তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে যেতে হয়েছিল খোদ ইন্দ্রাণী হালদারকেও। একবার এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথা নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেসময় তাঁর বয়স ছিল ২০ বছর। মুম্বাতেই ছিল সিনেমার শুটিং। প্রথমবার শুটিংয়ের জন্য অভিনেত্রী মুম্বাই গেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল একটি পাঁচতারা হোটেলে। আর পরের বার তিনি ছিলেন লিঙ্ক রোডের হোটেলে।
সেসময় তাঁকে আচমকা ফোন করে জানানো হয় তাঁর সাথে সিনেমার প্রযোজক (Producer) দেখা করতে আসবেন। কিন্তু তখনও অভিনেত্রীর বাবা এসে পৌঁছাননি হোটেলে। তাই প্রযোজক আসার খবর পেয়ে ভয়তে রীতিমতো ঠকঠক করে কাঁপতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর অভিনেত্রীর ভয়কে সত্যি করে উনি ঘরে ঢুকেই তাঁর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে দিয়েছিলেন ওই প্রযোজক।
আরও পড়ুনঃ পর্দার থেকেও কঠিন বাস্তবের ছোটবেলা, ‘মা’ সিরিয়ালের ঝিলিকের কাহিনী সত্যিই চোখে জল আনার মত
এরপর তিনি নাকি রীতিমতো জোর করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর কথায় ‘আমি ওনাকে বলছি আপনি কী করছেন এটা? কেন করছেন? আর উনি বলছেন, আরে ইয়ার তুমি বাঙালি মেয়ে, আমি তোমাকে হিন্দি সিনেমায় সুযোগ করে দেব। বড় বড় অভিনেত্রীরা আমার পায়ের তলায় থাকে। আমি বলতে লাগলাম, দেখুন আমার প্রতিভা দেখে আমাকে বাছা হয়েছে। আমি এরকম আপোস করব না।’ কিন্তু তখনও উনি অভিনেত্রীর কথা কানে না নিয়েই নিজের জামাকাপড় খুলতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
আর ইন্দ্রানী তখন নাকি মনে মনে ঠাকুরকে ডাকছিলেন আর বলছিলেন ‘আমাকে বাঁচাও ঠাকুর। আমি কি আজকে ধর্ষিতা হব তাহলে!’ তখনই ওই প্রযোজকের ফোন বেজে উঠে। ফোনটি করেছিলেন ওই প্রযোজকের স্ত্রী। সেই সুযোগে অভিনেত্রী দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে জোরে জোরে কাশতে শুরু করেছিলেন। এরপর হোটেল রুম থেকে চলে যেতে বাধ্য হন ওই প্রযোজক। তবে যাওয়ার আগে উনি অভিনেত্রীকে বলে গিয়েছিলেন ‘তুমহারা কুছ নেহি হোগা, তুম বেকার হো একদম’। তবে ওই প্রযোজকের কথা মিথ্যা করেই আজ অভিনেত্রী চূড়ান্ত সফল।