টেলিভিশনের পর্দায় কত সিরিয়াল এল গেল, কিন্তু কিছু সিরিয়াল থাকে যা শেষ হওয়ার পরেও চরিত্রগুলোকে ভুলতে পারেন না দর্শক। বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত এমনই একটি জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ছিল স্টার জলসার ‘মা’ (Maa) সিরিয়াল। এই ধারাবাহিকে ছোট্ট ঝিলিকের (Jhilik) চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিথি বসু (Tithi Basu)।
সিরিয়ালে খুব ছোটবেলাতেই মেলায় হারিয়ে যাওয়ার পর মা বাবার থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল পর্দার ছোট্ট ঝিলিককে। তবে জানলে অবাক হবেন পর্দার সেই ঝিলিকের সাথে বাস্তব জীবনেও খানিকটা মিল রয়েছে অভিনেত্রী তিথি বসুর জীবনেও। ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী তিথি তখন সবে মাত্র ক্লাস টেন। সেই সময়ই আচমকা বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছিল অভিনেত্রীর জীবন।
অতটুকু বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ দেখতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এত বছর পর নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন তিথি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন ওই বয়সেই তাঁকে এবং তাঁর মাকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। তাই খুব অল্প বয়স থেকেই জীবনের মূল্যবোধ সম্পর্কে বুঝতে শিখেছিলেন তিথি। যা তাঁকে মানসিকভাবে অনেকটাই পরিণত করে তুলেছে।
আরও পড়ুনঃ শ্রাবণের থেকে বেশি সুন্দরী! রইল স্টার জলসার ওমকারের বাস্তবের স্ত্রীর ছবিসহ আসল পরিচয়
তবে মা সিরিয়ালটি শেষ হওয়ার পর তিথিকে সেভাবে আর অভিনয় করতে দেখা যায়নি। যদিও সে সময় তাঁর সাথে যেসমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছিলেন তাঁরা এখন ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও চুটিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু তিথি কেন অভিনয় করছেন না? এ সম্পর্কে বারবার জানতে চেয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ প্রেম জমে ক্ষীর! এবার পুজোয় আদৃতের সাথে? লাজুক হাসিতে নিজেই জানালেন ‘দিদিয়া’ কৌশাম্বী
এদিনের সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিথি বলেছেন ‘সিরিয়ালে অভিনয় করাও কিন্তু সেই ১০টা-৫টার চাকরি করার মতো। আমি বাঁধাধরা কাজ করতে ভালবাসি না। এখন আমি নিজেই নিজের বস্। তাই ব্লগার তিথিকেই এগিয়ে রাখব।’ এত বছর ছোট পর্দা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার কারণ জানিয়ে তিথি বলেছেন ‘আমার আইসিএসসি পরীক্ষার ঠিক আগে মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। সে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।’
View this post on Instagram
ওই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিথি। তাই খুব অল্প বয়স থেকেই উপার্জন করতে শুরু করেছিলেন তিনি। দর্শকদের প্রিয় ঝিলিকের কথায় ‘তখন যদি সিরিয়াল করতাম তা হলে আর পড়াশোনা শেষ করতে পারতাম না। বাবা ছেড়ে যাওয়ার পর তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কষ্ট করে লেখাপড়াটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার।’