• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

একসময় ভিক্ষায় কাটতো দিন, শুয়েছেন ফুটপাতে! জয়িতা আজ ভারতের প্রথম কিন্নর বিচারপতি

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বদলেছে সমাজ। সেইসাথে সমাজের মানুষেরও যে বদল ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আদতে তা নয় আদতে এখনও সেই পুরনো মরচে ধরা মানসিকতা নিয়েই আজও আমাদের সমাজে বাস করছেন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের বাঁকা নজর সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর এগিয়ে চলার পথে। ব্যতিক্রম নন সমাজের বৃহন্নলা (Transgender) শ্রেণীর মানুষরাও। আজও দিনের পর দিন অসংখ্য মানুষের ব্যাঙ্গ বিদ্রূপের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।

সমাজে শুধু মাত্র টিকে থাকার লড়াইয়েই তাঁদের অনেক গঞ্জনার মুখে পড়তে হয়। তবে সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে নিজের জীবনে আজ সফল দেশের প্রথম বৃহন্নলা বিচারপতি, তথা বাংলার গর্ব জয়িতা মন্ডল (Jayita Mondal)। রাজ্যের আর পাঁচজন কিন্নর শ্রেণীর মানুষদের মতোই ছোটো থেকে নানা লড়াই, সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠেছেন জয়িতা। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল জয়ন্ত। আর এই জয়ন্ত থেকে জয়িতায় উত্তীর্ণ হওয়ার কাহিনি বড়ই বৈচিত্র্যময়। তাই তাঁর জীবন হয়ে উঠতে পারে যে কোনো সাধারণ মানুষের অনুপ্রেরণা।

   

India's FIrst Thirdgender Joyita Mondal

বর্তমানে তিনি সিভিল কোর্টের একজন প্রতিষ্ঠিত বিচারক। জয়িতা কলকাতার এক হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মেছিলেন। ছোট থেকেই স্কুল এবং সমাজের অসংখ্য মানুষের মতোই পরিবারের সদস্যরাও তাঁকে বোঝেনি। উল্টে সহ্য করতে হয়েছে ঘৃণা আর অপমান। এছাড়া ছোটবেলা থেকেই ছেলে হয়েও ‘মেয়ে’ হয়ে ওঠার তীব্র তাড়নার জেরে বাকি ছেলেদের গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছিল।

India's FIrst Thirdgender Joyita Mondal

এরপর বাধ্য হয়ে একটা সময় স্কুল যাওয়াও বন্ধ করে দিতে হয়। লিঙ্গ নিয়ে নিয়মবিধিতে আটকে যান তিনি , এরপর দশম শ্রেণীতে পড়তে-পড়তেই স্কুল ড্রপআউট হন জয়িতা। দশম শ্রেণির পরেই স্কুল ছেড়ে দেন তিনি। তার নিজের পরিবারও তাঁকে মন থেকে গ্রহণ করতে পারননি। এরপর শেষমেশ ২০০৯ সালে মনে একরাশ দুঃখ আর অভিমান নিয়ে বাড়ি ছেড়ে দেন জয়িতা। যাওয়ার আগে মাকে বলে যান, কাজের জন্য তিনি উত্তর দিনাজপুর যাচ্ছেন। পরে আর কোনও দিনই বাড়ি ফেরেননি তিনি।

একটা সময় বাসস্ট্যান্ডে রাত কাটিয়েছেন। এক সময়ে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষাও করেছেন তিনি। ইসলামপুরে যাওয়ার পর তিনি ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটিতে কাজ করতে শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি তার পড়াশোনাটাও শেষ করে ২০১০ সালে ল-এর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ‘দিনাজপুর নতুন আলো’ নামে একটি সংস্থা খোলেন। বর্তমানে সেই সোসাইটির বৃহন্নলা সদস্য সংখ্যা ২২০০জন। ২০১৭ সালের ৮-ই জুলাই থেকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর লোক আদালতে দেশের প্রথম কিন্নর বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন জয়িতা মন্ডল।