এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)। মেঘ-ময়ূরী-নীলের কাহিনী দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন দর্শকরা। যদিও নীলকে এখন নায়কের থেকে বেশি ভিলেন লাগছে দর্শকদের একাংশের। অনেকেই বলেন, স্বামী নামের কলঙ্ক সে। যদিও বাস্তব জীবনে কিন্তু একেবারে আলাদা নীল (Neel) অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় (Mainak Banerjee)। স্ত্রীকে ঘিরেই আবর্তিত হয় অভিনেতার জীবন।
গত বছর প্রেমিকা ঐশ্বর্য চৌধুরীর (Ashwarya Chowdhury) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ‘ইচ্ছে পুতুল’ অভিনেতা। মৈনাক-পত্নী পেশায় গাড়ির ডিজাইনার। কর্মসূত্রে চেন্নাইয়ে থাকেন তিনি। অপরদিকে পর্দার নীল নিজের অভিনয় কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। সারা বছর এভাবেই সময় কাটে দু’জনের। তবে পুজোর সময়টা একসঙ্গেই কাটান তাঁরা।
বিয়ের পর এটা মৈনাক-ঐশ্বর্যর দ্বিতীয় পুজো। এই বছর কী প্ল্যানিং রয়েছে অভিনেতার? সম্প্রতি জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘ইচ্ছে পুতুল’ নায়ক বলেন, ‘পুজোর কয়েকটা দিন কলকাতাতেই আছি। থাকতে চাইনি, তবে বউ বলেছে ও পুজোটা কলকাতাতেই কাটাতে চায়। আমরা একাদশীর দিন ঘুরতে যাচ্ছি’।
আরও পড়ুনঃ ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে সাধ ভক্ষণ! হবু মা শুভশ্রীকে দু-হাত ভরে আশীর্বাদ করলেন মিঠুন
দুর্গাপুজোর এই কয়েকটা দিন বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় আর জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করেই কেটে যাবে মৈনাক-ঐশ্বর্যর। অনেকেই হয়তো জানেন না, বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় দুর্গাপুজো কাটাতে এসেছিলেন ঐশ্বর্য। তখনই মৈনাকের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় তাঁর। এরপর সেই আলাপ থেকে হয় বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীকালে সেই বন্ধুত্বই প্রেমের আকার নেয়।
আরও পড়ুনঃ পুজোর মাঝেই সুখবর! আবারও ফিরছে উর্মি-সাত্যকি জুটি, প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল ভিডিও
বেশ কয়েকবছর চুটিয়ে প্রেম করার পর সাত পাকে বাঁধা পড়েন মৈনাক-ঐশ্বর্য। যদিও লং ডিসট্যান্স দাম্পত্য তাঁদের। সেই জন্য বিয়ের পর সেভাবে একসঙ্গে থাকা হয়নি তাঁদের। কেমন কাটছে দাম্পত্য জীবন? জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মৈনাককে। অভিনেতা বলেন, ‘ভালোই চলছে। আমি যখন সময় পাই চলে যাই, ও যখন সময় পায় এখানে চলে আসে। গত মাসে যেমন আমি চেন্নাই গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ড্রাইভ করে পণ্ডিচেরী যাই। দু’দিন কাটিয়েছিলাম ওখানে। সব মিলিয়ে দারুণ চলছে’।
কথার সূত্রেই পুজোর পর কোথায় যাচ্ছেন সেটাও জানান মৈনাক। অভিনেতা বলেন, ‘আমরা সিকিম যাচ্ছি, একটু রিমোট গ্রাম। কিউসিং বলে রা বাংলার আগে একটা গ্রাম রয়েছে, আর নাম্ফিং বলে সিকিমে আরও একটা গ্রাম রয়েছে। সেখানে দু’টো হোম স্টে দেখেছি। কয়েকটা দিন আমরা পাহাড়েই কাটাবো’।