How to get rid of Acne in a week: কপালে জুড়ে যদি ব্রণ (Forehead Acne) থাকে তাহলে তার প্রভাব সৌন্দর্যেও পড়ে। কিন্তু সৌন্দর্যের থেকেও বড় সমস্যা হল, কপালে ব্রণ হলে সহজে তা কমতেও চায় না। বরং সেই ব্রণ আরও বাড়তে থাকে। সেখান থেকে ব্ল্যাকহেডস (Blackheads), হোয়াইটহেডস সহ আরও নানান সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক তৈলাক্ত (Oily Skin) হলে, মানসিক চাপ থাকলে, ভালো ঘুম না হলে কিংবা ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না করলে ব্রণর সমস্যা বেড়ে যায়।
তবে লাইফস্টাইলে যদি বদল আনা হয় তাহলে ব্রণর সমস্যা নিজে থেকেই কমতে থাকে। তবে শুধু লাইফস্টাইলে বদল আনাই নয়, ব্রণ কমানোর বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকাও (Home Remedies) রয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে ব্রণ কমানোর এমন কিছু ঘরোয়া টোটকার হদিশ দেওয়া হল যা মেনে চললে নিজের চোখেই রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
অ্যালোভেরা জেল (Aloevera Gel)- তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে সেটা কপালে ঘষে ২০-৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে। এটি ব্রণর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। রোজ ১-২ বার কপালে অ্যালোভেরা জেল লাগালে ব্রণর সমস্যা কমতে শুরু করে দেবে।
টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil)- অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ টি ট্রি অয়েলও ব্রণ কমাতে এবং ত্বকের খেয়াল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গেও লড়াই করে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল, ১ চামচ আমন্ড অয়েল অথবা নারকেল তেল মিশিয়ে তা কপালে লাগান। পরেরদিন সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রোজ এই কাজ করলে নিজে থেকে ব্রণর সমস্যা কমে যাবে।
আরও পড়ুনঃ এক সপ্তাহে বন্ধ হবে চুল পড়া, মাথায় একটা পেঁয়াজ মেখেই পান কোমর অবধি লম্বা চুল!
পাতিলেবুর রস (Lemon Juice)- ভিটামিন সি-এ সমৃদ্ধ পাতিলেবুর রসও ব্রণর সমস্যা কমাতে ভীষণ কার্যকর। এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদাহ হিসেবে কাজ করে। ব্রণর সমস্যা কমানোর জন্য ৩ চামচ জলের সঙ্গে ১ ভামচ লেবুর রস মেশান। এরপর তুলোর বল দিয়ে সেটা মুখে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট মতো রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ এই রুটিন মেনে চললে নিজের চোখে রেজাল্ট দেখতে পাবেন। এছাড়া চাইলে আপনি লেবুর জল পানও করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ এক সপ্তাহে বুড়ি থেকে ছুড়ি! ঘরোয়া এই হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করলে পাকা চুল কালো হবে ৭ দিনে
মধু (Honey)- অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদানে সমৃদ্ধ মধুও ব্রণর সমস্যা কমানোয় ভীষণ কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে ভেষজ মধু কিনা তা দেখে নেবেন। কারণ আপনি যে মধু ব্যবহার করবেন সেটা ভেষজ হওয়া ভীষণ জরুরি।
প্রয়োজন মতো মধু নিয়ে আপনি কপালে ভালো করে মালিশ করুন। ২০-৩০ মতো লাগিয়ে রাখুন। এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রোজ এভাবে মুখে মধু মাখলে ব্রণর সমস্যা দূর হয়ে যাবে।